Tuesday, December 16, 2025
Latestদেশ

Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও জঙ্গি হত্যালীলা কান্ডের চার্জশিট পেশ, মূল ষড়যন্ত্রকারী কারা?

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হত্যালীলার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পাকিস্তানি জঙ্গি সাজিদ সইফুল্লার নাম সামনে আনল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সোমবার মামলার চার্জশিট জমা দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, সইফুল্লা পাকিস্তানের কাসুরের বাসিন্দা এবং পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর প্রধান। যদিও এখনও অধরা সে।

চার্জশিট অনুযায়ী, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় সইফুল্লাকে নিষিদ্ধ জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। তার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। তাকে ধরতে বা তাঁর সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারলে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনআইএ।

শুধু সইফুল্লাই নন, চার্জশিটে আরও তিন জঙ্গির নাম উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তারা হল সুলেমানি শাহ, হামজা আফগানি এবং জিবরান। গত ২৮ জুলাই ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ নিহত হয় এই তিন জঙ্গি। এনআইএ জানিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে কীভাবে হামলা চালানো হয়, কারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে।

এনআইএ-র দাবি, হামলার আগে জঙ্গিদের স্থানীয় স্তরে সক্রিয় সহযোগীরা খাবার, রসদ, যাতায়াত এবং থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। চার্জশিটে সহযোগী হিসেবে বশির আহমেদ পারভেজ জোঠর, মহম্মদ ইউসুফ কাটারি-সহ আরও ছ’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পারভেজ পহেলগাঁওয়ের বাটকোটের বাসিন্দা, বশিরের বাড়ি হিল পার্ক এলাকায়। ইউসুফ জঙ্গিদের ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পথ দেখিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেয় বলে অভিযোগ।

এনআইএ জানিয়েছে, সাত মাস ধরে চলা তদন্তে এই মামলায় হাজারের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র ও প্রমাণের ভিত্তিতে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে লস্কর-এ-তৈবা এবং টিআরএফ-এর প্রত্যক্ষ যোগ স্পষ্ট হয়েছে। চার জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ইউএপিএ এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহেই টিআরএফ-এর জন্ম। লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন হিসেবেই এই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সংগঠনের মাথা সাজিদ সইফুল্লা। 

এনআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার মধ্যেও সইফুল্লার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। পহেলগাঁও হামলার প্রায় দু’মাস আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাঙ্গলপুর এলাকায় তাকে দেখা গিয়েছিল, যেখানে পাক সেনার একটি বড় ব্যাটালিয়ন মোতায়েন ছিল।

পহেলগাঁও হত্যালীলা মামলার চার্জশিট জমা পড়ার পর ফের একবার সীমান্তপারের জঙ্গি মদত ও পাকিস্তানি যোগের বিষয়টি সামনে এল।