পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন মুকুল রায়
কলকাতা: সমস্ত জল্পনার অবসান হতে চলেছে। মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন। শুক্রবার দুপুর দুটোয় তৃণমূল ভবনে যাচ্ছেন মুকুল রায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ তৃণমূলের প্রথমসারির নেতাদের উপস্থিতিতে মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় ফের তৃণমূলে যোগ দেবেন।
জানা গেছে, তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে শুক্রবার সকালে বৈঠক করেন মুকুল রায়। সেই বৈঠকে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু–সহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মুকুল রায়। কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল ভবনে গিয়ে পুরনো দলে ফেরার কথা জানিয়েছেন তিনি।
একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন মুকুল রায়। চাণক্যকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও কটূ বাক্য বলেননি। মুকুলও তৃণমূল নেত্রীর প্রসঙ্গে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ছাড়া অন্য কোনও শব্দবাক্যে তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেননি। দল ছাড়লেও সৌজন্য বজায় রাখেন। এমনকি ভোটের আগে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মুকুল শুভেন্দুর চেয়ে ভালো। এরপরেই জল্পনা ছড়ায়, মুকুল রায় কি তৃণমূলে ফিরছেন?
মুকুল ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, বিজেপি একুশের বিধানসভা ভোটে ৩ টি আসন থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে, তার পিছনে মুকুল রায়ের বিরাট ভূমিকা অবদান রয়েছে। কারণ তৃণমূল ভাঙানো থেকে শুরু করে সাংগঠনিক নানা সিদ্ধান্তে মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। কিন্তু বিনিময়ে প্রাপ্যটা পাননি মুকুলবাবু।
সম্প্রতি মুকুল-বিজেপি দূরত্ব বাড়ছিলো। দলের বৈঠকেও যোগ দেননি। খানিকটা অনীহা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ভোটের আগে এবং পরে তাঁকে কোনও সাংগঠনিক ভূমিকায় সেভাবে দেখাও যায়নি। বিধায়ক হয়ে শুধু শপথ নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে বিজেপির দূরত্ব বাড়ছিল মুকুলের।
মুকুল রায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলে একে একে জোড়াফুল থেকে পদ্মফুলে নাম লিখিয়েছিলেন অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। আর বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এবার মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরায় কারা কারা পদ্মফুল থেকে জোড়াফুল নাম লেখাচ্ছে সেটাই দেখায়।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

