বরেলি হিংসা কান্ডে অ্যাকশন মুডে যোগী সরকার, গ্রেফতার ৪৯, অভিযুক্ত ২৫০০
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতভর অভিযুক্তদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। শনিবারেই ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মাওলানা তৌকির রাজা-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবারই প্রথম পর্যায়ে তৌকির রাজা সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতের অভিযানে আরও ৪১ জনকে পাকড়াও করা হয়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্তত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা PTI-এর খবর অনুযায়ী, হিংসা উসকে দেওয়া ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মোট ১০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ১৮০ জনকে। এর বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় সহ প্রায় ২,৫০০ জনকে অভিযুক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রাজা খান নামের এক নেতাও, যিনি হিংসা ছড়ানোর অন্যতম উস্কানিদাতা বলে অভিযোগ।
বরেলির জেলা শাসক অবিনাশ সিং জানিয়েছেন, “এই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী হিসেবে মাওলানা তৌকির রাজা এবং তার সহযোগীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ তাদের দ্রুত আদালতে হাজির করেছে।” অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সরফরাজ, মনিফুদ্দিন, আজিম আহমেদ, মহম্মদ শরিফ, মহম্মদ আমির, রেহান ও মহম্মদ সরফরাজ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার কোহলানুপুর এলাকায়। জুম্মার নামাজ শেষে রাস্তা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। মুহূর্তে তা উত্তেজনার আকার নেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরে আল হযরত দরগার কাছে ‘আই লাভ মহম্মদ’ লেখা পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে নামেন কয়েকজন। দ্রুতই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, “রাজ্যে কোনওভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ প্রশাসন কাউকে রেহাই দেবে না।”