Saturday, October 4, 2025
Latestদেশ

‘আই লাভ মহম্মদ’-এর মঞ্চ থেকে যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ‘আই লাভ মহম্মদ’ আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তে। কানপুর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ঘিরে পরপর অশান্তিতে কেঁপে উঠেছে উন্নাও, বরেলি, কৌশাম্বি, লখনউ, মহারাজগঞ্জ সহ উত্তরাখণ্ডের কাশীপুর ও তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ। মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বহু মানুষ এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।

জানা যায়, কানপুরে প্রথম ‘আই লাভ মহম্মদ’ সাইনবোর্ড নিয়ে ধর্মীয় মিছিলের সময় হিন্দুদের তরফে আপত্তি জানানো হলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অভিযোগ, মধ্যস্থতা করতে এলে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। যদিও প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।

কানপুর পুলিশের ডিসিপি দীনেশ ত্রিপাঠি জানান, পুরনো নিয়ম না মেনে নতুনভাবে সাইনবোর্ড সরানোয় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ওই ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের হয়নি, শুধু দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ২০ জনের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগে মামলা রুজু করে।

এরপরেই উন্নাও, মহারাজগঞ্জসহ একাধিক জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। মহারাজগঞ্জে স্থানীয়রা প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিলেও পুলিশ তা আটকায় এবং আইনভঙ্গের অভিযোগে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।

এই অশান্তির মাঝেই মহারাষ্ট্রে নতুন করে চাঞ্চল্য। বীড জেলায় আয়োজিত ‘আই লাভ মহম্মদ’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দেন মৌলানা আসফাক নিসার শেখ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “যোগীর যদি সাহস থাকে তবে তিনি মাজলগাঁওয়ের মুস্তফা মসজিদ পরিদর্শনে আসুন। আমি তাঁকে কবর দিয়ে দেব।” এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র আলোড়ন পড়ে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু আসফাক নয়, অনুষ্ঠানের আয়োজক রফিক তাম্বোলির বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

উত্তরপ্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন যে দেশের নানা প্রান্তে অশান্তি বাড়াচ্ছে। এটা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।