Tuesday, November 11, 2025
Latestরাজ্য​

ভারতীয় বাঙালির বাংলা আর অনুপ্রবেশকারীদের বাংলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে: তরুণজ্যোতি তিওয়ারি

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভিন রাজ্যে বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বিরোধীরা বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করছে। বিরোধীদের দাবি, বাংলা বললেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিচ্ছে বিজেপিশাসিত রাজ্যের পুলিশরা। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বিজেপি নেতার দাবি, ‘ভারতীয় বাঙালির বাংলা আর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে টুইটে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় বাঙালির বাংলা আর বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বাংলা শুনলেই বুঝতে পারবেন কোনটা বাংলাদেশী ভাষা।”

তরুণজ্যোতি তিওয়ারির টুইটে একটি ছবিও রয়েছে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় বাঙালির বাংলা হিসেবে বলা হয়েছে- মা, বাবা, মাসি, পিসি, দিদি, ভোর, বন্ধু, মাংস, রক্ত, স্নান, নিমন্ত্রণ। 

অন্যদিকে, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বাংলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে – আম্মি, আব্বু, আপা, ফুফা, খালা, গোসল, দাওয়াত, ফজর, গোস্ত, পানি।

এ প্রসঙ্গে আরেকটি টুইটে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, “বাঙাল’ ভাষা আর ‘বাংলাদেশী’ ভাষা এক জিনিস নয়। প্রথমটি পূর্ববাংলার হিন্দুদের কথ্য ভাষা, জেলা থেকে জেলায় পরিবর্তিত। যেমন, পশ্চিমবঙ্গে যা ‘আমাদের-তোমাদের’, ঢাকাই কথ্য ভাষায় সেটা ‘আমাগো-তুমাগো’, আমার পূর্বপুরুষের ভূমি কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেটা ‘আমরার-তুমরার’। ‘খালা’, ‘পানি’, ‘দুলাভাই’, ‘ফকিন্নি’ এই সব শব্দ এই বাঙাল ভাষায় নেই, কোটেশন হিসাবে ছাড়া এই ভাষা কখনো লেখা হয় না।

আর বাংলাদেশী ভাষা একটি formal লিখিত ভাষা।এটি মূলতঃ বাংলা, কিন্তু প্রচুর আরবী-ফার্সী শব্দ এতে ঢোকানো হয়েছে। উর্দুও একই ধরণের ভাষা – মূলত হিন্দি, কিন্তু ফার্সী শব্দে কণ্টকিত, এবং হিন্দিভাষীদের কাছে প্রায় অবোধ্য। বাংলাদেশী ভাষা এখনো অতটা হয় নি, তবে সেদিকেই যাচ্ছে।

মোট কথা এই: বাঙাল ভাষা পূর্ববঙ্গীয় হিন্দুদের কথ্য ভাষা, বাংলাদেশী ভাষা বাংলাদেশের মুসলমানদের লিখিত ভাষা।”