Trump Tariffs: ভারতীয় পণ্যে ৫০% শুল্ক আরোপে ক্ষতি হচ্ছে আমেরিকারই, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিলে প্রস্তাব পেশ মার্কিন সংসদে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারতের পণ্যের উপর আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক বেআইনি দাবি করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি উঠল মার্কিন সংসদে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চড়া শুল্কের ফলে ভারতের পাশাপাশি আমেরিকারই অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে এবং সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের উপর অতিরিক্ত চাপ বাড়ছে।
এই প্রস্তাবের নেপথ্যে রয়েছেন তিন জন কংগ্রেস সদস্য, ডেবোরা রস, মার্ক ভিসে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তি। তাঁদের দাবি, ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিলের পণ্যের উপরও ট্রাম্প প্রশাসন যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেটিও প্রত্যাহার করা উচিত। এখনও পর্যন্ত এটিই আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের হার।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রথমে ভারতের পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে নয়াদিল্লির অনড় অবস্থানের কারণে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। গত ২৭ আগস্ট থেকে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে, যার ফলে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য ধাক্কা লেগেছে।
কংগ্রেস সদস্যদের অভিযোগ, বিশেষ জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করেই ট্রাম্প একতরফাভাবে এই শুল্ক আরোপ করেছেন, যা সাধারণ নাগরিক ও কর্মজীবীদের স্বার্থের পরিপন্থী। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের উপর চড়া শুল্কের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে উত্তর ক্যারোলিনা প্রদেশে। ওই প্রদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল। সেখানে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বসবাস করেন এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতীয় বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য।
সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, “এই শুল্ক বাণিজ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে দিচ্ছে। এতে মার্কিন কর্মচারীদের ক্ষতি হচ্ছে এবং ব্যয় বাড়ছে। শুল্কের ফলে উল্টো ফল মিলছে।” তাঁর মতে, শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে ভারত-আমেরিকা অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতা আরও মজবুত হবে।
ডেমোক্র্যাট সদস্যেরা দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরোধিতা করে আসছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের কঠোর অবস্থান নিয়েও তাঁদের আপত্তি রয়েছে। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে রাজা কৃষ্ণমূর্তি-সহ একাধিক সাংসদ সরাসরি ট্রাম্পের কাছে ভারতের উপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন।


