পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ৬৭ লাখ ভোটারের তথ্য যাচাই করবে নির্বাচন কমিশন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ার খসড়া তালিকা প্রকাশ পেতেই বিস্ময়কর তথ্য উঠে এল। নির্বাচন কমিশনের হাতে ওঠা প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটার–এর নাম, বয়স এবং পরিবারসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে। কমিশন তা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং শ্রীঘ্রই ব্যাপক যাচাই অভিযান শুরু হতে চলেছে।
প্রধান অসঙ্গতি: পরিসংখ্যান যা বলছে
তথ্য যাচাই করে যে চিত্র উঠে এসেছে তা উদ্বেগজনক। সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের বাবা-মা এক। অর্থাৎ পরিবারভিত্তিক তথ্যের ক্ষেত্রে ঘটেছে বড়সড় গলদ।
১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩০ ভোটারের বাবার বয়স ১৫ বছরের কম দেখানো হয়েছে। যা অসঙ্গতির পরিষ্কার ইঙ্গিত।
৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ ভোটারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ৪০ বছরের আগেই ঠাকুরদা হয়ে গিয়েছেন তারা।
রাজ্যে ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ভোটারের নামের পাশে রয়েছে যে তাঁরা ৬ সন্তানের বাবা। যা কমিশনের নজরে আরও এক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এসব মিলিয়ে কমিশনের সন্দেহের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ১.৬৭ কোটিরও বেশি ভোটার তথ্য।
কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ
কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে,
বুথ লেভেল অফিসার (BLO)রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন।
যাদের তথ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তাদের শুনানিতে ডেকে পাঠানো হবে।
রোল অবজারভাররা পুরো প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
অর্থাৎ, আগামী কয়েক সপ্তাহে ভোটার তালিকায় বড়সড় সংশোধন দেখা যেতে পারে।
বিরোধীদের কটাক্ষ ও তৃণমূলের পালটা
বিরোধী শিবির স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার অভিযোগ করেন, “পুরোটাই ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বামেরা, তারপর তৃণমূল সবাই মিলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়েছে। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই তো ভূতুড়ে ভোটার! এরাই জিতিয়ে এসেছে বিভিন্ন দলকে।”
পালটা তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “এগুলো সবই কমিশনের নিয়মিত কাজ। যদি কোথাও ভুল থাকে, কমিশন তা বাদ দেবে। এতে রাজনীতির কিছু নেই।”


