Bangladesh Election: ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশের ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় গণভোট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভাষণে এ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন। তিনি নির্বাচনী তফসিলের পূর্ণ সূচি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।
নির্বাচনী তফসিল
সিইসি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। আপিল দাখিলের শেষ দিন: ১১ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ: ২০ জানুয়ারি।
ভোটগ্রহণ: ১২ ফেব্রুয়ারি, সকাল ৭:৩০ থেকে বিকাল ৪:৩০
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৮ লাখের বেশি। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন। ইতোমধ্যে ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার নাম নিবন্ধন করেছেন।
প্রেক্ষাপট: হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত, অন্তর্বর্তী সরকারে ইউনূস
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। পরদিন ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
পরবর্তীতে ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ অনুষ্ঠানে ইউনূস ২৮ দফার জুলাই ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের দলিল হিসেবে বিবেচিত।
ইউনূস প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। সিইসির ঘোষণামতে, নিবন্ধিত ৫৬টি রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
আগের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি
বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। সে নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসে। যদিও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা নির্বাচন বয়কট করেছিল। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ সহিংসতায় শতাধিক নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হয়, যার পরিণতিতেই ঘটে আগস্টের গণঅভ্যুত্থান।
এই অস্থিরতা পেরিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই হচ্ছে হাসিনা-পরবর্তী প্রথম জাতীয় নির্বাচন। যা বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


