Swadeshi Sankalp Rath Yatra : দেশজুড়ে ‘স্বদেশী সংকল্প রথ যাত্রা’ শুরু করছে সর্বভারতীয় বণিক সংগঠন CAIT
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: স্বদেশী ভাবনাকে সামনে রেখে সারাদেশে ‘স্বদেশী সংকল্প রথ যাত্রা’ শুরু করতে চলেছে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সেল স্বদেশী – বাই স্বদেশী’ আহ্বানের সুরেই সংগঠনের এই উদ্যোগ। আগামী ২৫ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ন্যাশনাল ট্রেডার্স কনফারেন্সের আগেই এই ঘোষণা।
CAIT–এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একদিনের এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় সভাপতি বি সি ভারতিয়া। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক বণিক নেতা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। মূল উদ্দেশ্য—রথ যাত্রার রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা এবং জিএসটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’-সহ বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সমাধান খোঁজা।
জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদনি চকের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্য পরিবেশে ব্যবসায়ীরা নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। তাই এই বৈঠক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। তাঁর দাবি, এই যাত্রার লক্ষ্য—প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভরতার বার্তা দেশজুড়ে পৌঁছে দেওয়া।
খান্ডেলওয়াল আরও জানান, ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চল থেকে একটি রথ যাত্রা শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে তা ছত্তিসগড়ে প্রবেশ করছে। ১ ডিসেম্বর থেকে মধ্যপ্রদেশের গ্রামাঞ্চলে আরও দুটি রথ যাত্রা শুরু হবে। সম্মেলনে অন্যান্য রাজ্যে একই ধরনের কর্মসূচি চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিজিটাল লেনদেন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ওপর সাইবার জালিয়াতির ঝুঁকি বেড়েছে বলেও সতর্ক করেন CAIT নেতারা। এ কারণে দেশজুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হবে। ডিজিটাল টুলস, আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্কশপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্মেলনের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে জিএসটি কাঠামো সরলীকরণ—বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কর-মান্যতা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি কমানোর উদ্যোগ। সরকারের ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর বাণিজ্যব্যবস্থা গড়ে তোলাই লক্ষ্য।
এছাড়া ই–কমার্স, এমএসএমই–র বিকাশ, রপ্তানি সম্ভাবনা এবং ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা ন্যাশনাল উইমেন এন্টারপ্রেনিউরস কনফারেন্স নিয়েও আলোচনা হবে। নারী ব্যবসায়ীদের ক্ষমতায়নও এই উদ্যোগের অন্যতম অগ্রাধিকার। স্বদেশী পণ্যের প্রচার, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নিরাপদ বাণিজ্য—এই তিনকে হাতিয়ার করেই দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করতে চাইছে CAIT।


