Monday, November 10, 2025
Latestরাজ্য​

‘SIR নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল’

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজ্যের রাজনীতিতে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে এসআইআর এর ইস্যু ঘিরে। শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার তৃণমূল  এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, “একদিকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, অন্যদিকে তৃণমূল নেতারাই নিজেরা এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করছেন।”

শুভেন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী নিজে এবং তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায়-সহ একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই এসআইআরের এনুমারেশন ফর্ম নিয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, “যে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করছেন যতক্ষণ না সবাই ফর্ম পূরণ করছে, ততক্ষণ তিনিও করবেন না, তিনিই আবার পরে বিএলও-র (BLO) কাছ থেকে ফর্ম নিচ্ছেন — এটাই আসল দ্বিচারিতা।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেন ‘সমস্ত নাগরিক’ ফর্ম পূরণ করুন, তার মধ্যে কি ভুয়ো ভোটারও রয়েছেন?” শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে এসআইআরের সঙ্গে এনআরসিকে গুলিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

বিজেপি নেতার অভিযোগ, “তৃণমূল চায় অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় রাখা হোক।” কিন্তু এসআইআর প্রক্রিয়া অনুযায়ী, “মৃত ভোটার, একাধিক ভোটার কার্ডধারী ও বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদই যাবে।”

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যারা বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে এসেছেন, বিশেষত হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু, তাঁরা যদি সিএএ-এর আওতায় আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না।”

শুভেন্দু আরও জানান, “৩১ অক্টোবরের বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন এবং এসআইআর প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। অথচ বাইরে এসে সেই প্রক্রিয়াকে ‘এনআরসি’ বলে বিরোধিতা করছেন। 

বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “একদিকে সই করছেন, অন্যদিকে প্রচারে বলছেন এসআইআর মানে এনআরসি — এই দ্বিচারিতাতেই মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন।”

বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল শিবির নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং আধিকারিকদের ভয় দেখাচ্ছে। শুভেন্দুর মতে, “এটা আসলে রাজনৈতিক নাটক। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রকৃত সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন।”

উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়, এর আগে ১৯৫১ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ৮ বার SIR হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সর্বশেষ ২০০২ সালে SIR হয়েছিল।