‘দ্বিচারিতা’ করছে আমেরিকা, ১০০% শুল্ক চাপানোয় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি চিনের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ অক্টোবর চিনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন শুল্ক আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বর্তমান শুল্কের ওপর এই অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর পর চিনের পণ্যের ওপর মোট শুল্ক হার ১৪০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তকে ‘দ্বিচারিতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ তাদের দ্বিচারিতার একটি উদাহরণ। শুল্ক নিয়ে হুমকি দেওয়া চিনের সঙ্গে বাণিজ্য করার সঠিক পথ নয়। আমরা যুদ্ধ করতে চাই না, কিন্তু যুদ্ধের ভয়ও নেই।”
মার্কিন শুল্ক আরোপের পেছনে চিনের বিরল খনিজ রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা প্রভাবিত হয়েছে। এর আগে চিন ভারতসহ অন্যান্য দেশকে চিঠি লিখে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিল যে তারা আমেরিকায় বিরল খনিজ পদার্থ রফতানি করবে না। ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘নজিরবিহীন আগ্রাসন’ ও ‘নৈতিক অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, চিন ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার চিপ, লেজার ও অন্যান্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ধাতুগুলি রফতানি নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্বকে ‘বন্দি’ করার চেষ্টা করছে। এশিয়ার সফরের সময় তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও প্রয়োজন দেখছেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, এর আগেই ৯ অক্টোবর চিন বিরল খনিজ ও সম্পর্কিত সরঞ্জাম, লিথিয়াম ব্যাটারির রফতানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই বছরের শুরুতেই দুই দেশ একে অপরের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করেছিল, যার ফলে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হয়।