বিদেশি অনুদানে ভারতে অশান্তি পাকানোর ছক? সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে তদন্তে CBI
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তপশিলে অন্তর্ভুক্তকরণ সহ একাধিক দাবিতে অশান্ত লেহ। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়, বেলা বাড়তেই তা হিংসাত্মক আকার নেয়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার জন্য সরাসরি পরিবেশকর্মী ও শিক্ষা সংস্কারক সোনম ওয়াংচুককে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকার সোনম ওয়াংচুকের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান – স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ – এর এফসিআরএ নিবন্ধন বাতিল করেছে। লাদাখে সহিংস বিক্ষোভের ২৪ ঘন্টা পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
সূত্রের খবর, তদন্তে সোনম ওয়াংচুকের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ‘গুরুতর আর্থিক অনিয়ম’ ধরা পড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশী অবদান নিয়ন্ত্রণ আইনের বারবার লঙ্ঘন। অভিযোগ, এই অনুদান ‘দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে’।
জানা গেছে, বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (এফসিআরএ) লঙ্ঘনের অভিযোগে সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, যদিও এখনও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।
ওয়াংচুকের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভস লাদাখ (HIAL) এবং স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ (SECMOL)-এর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করে বিদেশি অনুদান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ওয়াংচুক বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে সিবিআইয়ের একটি দল সরকারি নির্দেশনামা নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিল। তাঁর দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে এফসিআরএ-র ছাড়পত্র ছাড়াই বিদেশি অনুদান গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু আমরা বিদেশি তহবিলের উপর নির্ভরশীল নই। বরং আমরা জ্ঞান রপ্তানি করি, তার বিনিময়ে খরচ সংগ্রহ করি।”
অন্যদিকে, বুধবারের বিক্ষোভে উত্তেজনা চরমে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা বিজেপির লেহ পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি, পুলিশি গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপরই পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
৬ অক্টোবর লাদাখের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগে এই বিক্ষোভ প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।