এবার মোঘলদের দেওয়া ‘আগ্রা’ নাম বদলে ‘অগ্রবন’ রাখতে চলেছে যোগী সরকার
লখনউ: ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা এবং ঐতিহাসিক মুঘলসরাই রেল স্টেশনের নাম বদলে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় রাখার পরে এবার আগ্রার নাম বদলের চিন্তাভাবনা করছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে আগ্রার নাম বদলে অগ্রভান করার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস দফতরকে আগ্রার নামের ঐতিহাসিক নামের গুরুত্বকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। বহু মানুষের বিশ্বাস, প্রাচীনকালে আগ্রার নাম ছিল অগ্রভান। এই বিশ্বাসকে ভিত্তি করেই আগ্রার নাম বদলের পরিকল্পনা করছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। কোন সময়, এবং কেন অগ্রভান নাম বদলে আগ্রা রাখা হয় তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ঐতিহাসিক ও বিশেষজ্ঞদের।
আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুগম আনন্দ বলেন, আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে আগ্রার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে। আমরা এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। খুব শ্রীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেব।
এর আগে, আখড়া পরিষদের দেওয়া প্রস্তাবে এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ করেছে যোগী সরকার। আখড়া পরিষদের দাবি ছিল, ষোড়শ শতকের আগ পর্যন্ত এলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজই ছিল। পরবর্তীকালে শাহজাহান প্রয়াগরাজ বদলে এলাহাবাদ রাখেন। নাম বদলের আবেদনে সায় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল রাম নায়েক।
এরপর, ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের চতুর্থ ব্যস্ততম রেলস্টেশন মুঘলসরাইয়ের নাম বদলে রাখা হয়েছে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, এই স্টেশনেরই রয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ রেল ইয়ার্ড। এ ইয়ার্ডের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১২ কিলোমিটার। এখানে পাঁচ হাজার ওয়াগন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পরে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে করেছে অযোধ্যা। এবার পালা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম স্থাপনা তাজমহলের শহর আগ্রার।