Saturday, June 21, 2025
কলকাতা

ধর্ষণ- খুনের ঘটনা নিয়ে ‘নীরব’ কেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন অধীরের

নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন দেশবাসী। এই ‘ভয়ানক’ ঘটনায় ‘তীব্র ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছেন আমজনতা। অনেকেই দাবি করেছেন ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইন আনা হোক। হায়দরাবাদ কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এছাড়া, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ‘নীরবতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীরবাবু।

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, কেবলমাত্র ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা করা হচ্ছে। তবে আমি এটা দেখে অবাক হয়ে গেলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা করলেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন অধীরবাবু।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব বিষয়েই কথা বলেন, মাসে একবার মন কি বাত করেন, কিন্তু তিনি আমাদের বাড়ির শিশু, বোনের উপর হয়ে যাওয়া এই বর্বোরচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে কিছুই বললেন না।

হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই ভয়াবহ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে সমস্ত ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত। মামলার বিচার ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে হবে।

তবে নক্কারজনক এই ঘটনার এতদিন পরেও রাজ্য সরকার বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার মতো সময় না পাওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

এই ঘটনায় শুক্রবারই ধরা পড়েছে অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জোল্লু শিবা, জোল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু। শনিবার তেলাঙ্গানার শাদনগরের আদালত ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে তাদের।