করোনা আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ থেকে শিশুরা সংক্রমিত হয় না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ থেকে শিশুরা সংক্রমিত হয় না। শুক্রবার এমনটাই জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সংস্থার প্রধান ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানান, তাঁরা খুব সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গবেষণা প্রাপ্য সব প্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হল– করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির চেয়ে বুকের দুধ পান করানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, করোনা রোগে শিশুদের ঝুঁকি কম। কিন্তু অনেক রোগ আছে যেগুলো তাদের জন্য উচ্চ ঝুঁকির কারণ, মায়ের বুকের দুধ এসব প্রতিরোধ করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংর গবেষণা বিভাগের সিনিয়র উপদেষ্টা আনশু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা মায়ের দুধে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কয়েকটি পরামর্শ:-
১. করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাবান ও জল দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে বলা হয়েছে।
২. মাংস ও ডিম অবশ্যই ভালোমত রান্না করে খেতে হবে।
৩. হাঁচি ও কাশি হলে অবশ্যই হাত বা টিস্যু দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে হবে। এরপর টিস্যু ফেলে দিতে হবে এবং অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
৪. যে কোনও অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করার পর হাত ধুতে হবে। কোনও প্রাণির যত্ন নিলে বা স্পর্শ করলে ও প্রাণিবর্জ্য ধরার পরও হাতে ধুতে হবে।
৫. রান্না ও খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এতে শরীরে যে কোনও সংক্রমণ এড়াতে সহজ হয়।
৬. ব্যবহার করা টিস্যু খোলা ঝুড়ি বা ডাস্টবিনে না ফেলে ঢাকনা রয়েছে এমন ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
৭. নিজে সুরক্ষিত না থেকে বা হাতে গ্লাভস না পরে কোনও অসুস্থ ব্যক্তির মুখ ও দেহ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তেমনি গবাদিপশু ও বন্যপশুকে ধরার আগেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
৮. কাঁচা মাংস, সবজি ও রান্না করা খাবার হাতে ধরার আগে অবশ্যই প্রত্যেকবার হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাঁচা মাংস, সবজি, রান্না করা খাবার কাটার জন্য ভিন্ন চপিং বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করতে হবে। অসুস্থ প্রাণীর মাংস একেবারেই খাওয়া যাবেনা। তবে রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকাতেও উপযুক্ত তাপে ও ভালোভাবে সিদ্ধ করা মাংস খেলে ঝুঁকি নেই। কাঁচা বাজারে গিয়ে কোনও প্রাণী ও প্রাণীর মাংস হাতে ধরলে দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। কাঁচা বাজারে অবস্থানের সময় অযথা মুখে-চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. কাজের জায়গাটি দিনে অন্তত একবার হলেও পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিধেয়টি অবশ্যই প্রতিদিন বদল করতে হবে এবং ধুতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করা ভালো।
১০. ভ্রমণের সময় যদি জ্বর-সর্দি অনুভূত হয়, তাহলে যে কোনও ভ্রমণ বাতিল করাই ভালো। পাশাপাশি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ওষুধ খেতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কারও সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
১১. যদি মাস্ক ব্যবহার করা হয়, তবে নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে। একবার মাস্ক পরলে তা বার বার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একবার মাস্ক ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে। মাস্ক ধরার পর হাতে ধুয়ে নিতে হবে।