সংক্রমণ ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করে মাস্ক, তাই জনসমাগমে অবশ্যই ফেস মাস্ক পরতে হবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
জেনেভা: মাস্ক ব্যবহার নিয়ে নয়া নির্দেশনা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাঁরা বলেছে, করোনা প্রতিরোধের জন্য জনসমক্ষে অবশ্যই ফেস মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এক বিবৃতিতে সংস্থার মহাসচিব বলেছেন, বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়ার পর এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে নিবিড় আলোচনার পর এটা দেখা গিয়েছে, মাস্ক ব্যবহারের ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যের শরীরে তা ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই যদি কেউ জনসমাগমে যান, অবশ্যই তাঁকে মাস্ক পরতে হবে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, স্বাস্থ্যবান মানুষদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। যাঁরা অসুস্থ বা তাঁদের পরিচর্যা করছেন, তাঁদের মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত। তবে আগের অবস্থান থেকে সরে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁরা নয়া নির্দেশিকায় বলেছে, জনসমক্ষে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। করোনার বিস্তার রোধে অবশ্যই মাস্ক পরে বাইরে চলাচল করতে হবে। ফেস মাস্ক করোনা আক্রান্তের শরীরে থেকে ভাইরাস ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জনসমাগমে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্রিটেনও এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আমাদের পড়শি দেশ বাংলাদেশেও এখন মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ঘরের বাইরে মাস্ক না পরলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়া জার্মানি, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ির বাইরে বর হলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড -১৯-এর প্রযুক্তিগত নেতৃত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ ড. মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শটি হলো ‘ফেব্রিক মাস্ক বা কাপড়ের মাস্ক’, অর্থাৎ একটি নন-মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।