Saturday, April 19, 2025
আন্তর্জাতিক

আশার আলো, হু-এর বিচারে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে এগিয়ে এই ৭ সংস্থা

জেনেভা: বিশ্বজুড়ে করোনার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যার ফলে ভ্যাকসিনের চাহিদা বাড়ছে। গবেষণাগারে দিন-রাত এক করে চলছে অনুসন্ধান। এর মধ্যে অনেকই দাবি করে, ভ্যাকসিন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে জানা গিয়েছে, যে এই ৭ সংস্থা যে কোনও দিন বাজারে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ (WHO) এই সংস্থাগুলির কাজের উপর নজর রাখছে।

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডারেনা থেকাপিউটিক জানিয়েছে, তাঁরা নিজেদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে এই ভ্যাকসিন ৪৫ জন ভলেন্টিয়ারের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছে। এবার ১৮-৫৫ বছর বয়সী ৬০০ জন ভলেন্টিয়ারের শরীরে এটি পরীক্ষা করা হবে।

২. নোভানাক্স সম্প্রতি ৩৮৮ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য পেয়েছে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। সার্স কোভিড-২ ভাইরাসের জিন থেকে সিঙ্গল এবং ডবল ডোজের এই ভ্যাকসিন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে ইঁদুরের দেহে।

৩. জনসন অ্যান্ড জনসন নামক সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবে তাঁরা। ট্রায়াল শুরু করা হবে আগামী সেপ্টেম্বরে।

৪. ফিজার ও বিএনটেক ভ্যাকসিন: মার্কিন এবং জার্মান গবেষকদল একযোগে কাজ করছেন এই আরএনএ ভ্যাকসিন নিয়ে। প্রথম দফার ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে জার্মানিতে। ৩৬০ জনের ওপর শ্রীঘ্রই পরীক্ষামূলক ভাবে এটি প্রয়োগ করা হবে।

৫. সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন: চিনের বেজিংয়ের অই ভ্যকসিনটি বাঁদরের শরীরে এটি শতভাগ সফল ভাবে কাজ করেছে। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় ট্রায়ালের।

৬. সানোফি ভ্যাকসিন: ফরাসি এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে ব্রিটিশ গবেষণাগারে।

৭. অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন: তাঁরা দাবি করেছে, সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসতে পারে তাঁদের ভ্যাকসিন।