করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে রেড-অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউন: মমতা
কলকাতা: সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় সবর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের উপর তিনি যে কিছুটা বিরক্তও, তা এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্র যেমন নির্দেশ দিচ্ছে দিক। পশ্চিমবঙ্গে ২১ মে পর্যন্ত এখনকার পরিস্থিতি ভালো রাখার চেষ্টা করব আমরা। সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমরা রাজ্যকে রেড-অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করেছি। রেড জোনে কড়াকড়ি থাকবে। গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে একটু ছাড় দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের তরফের যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা লকডাউন নয়। তাঁর কথায়, লকডাউন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্র নিক। আমরা জোন ভাগ করে দেব। রাজ্যকে তো আমাদেরই চালাতে হবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা দেন, অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্যের হোম ডেলিভারিতে আপাতত ছাড়।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য জোন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে। গ্রামের দিকে কিভাবে কাজকর্ম চালু করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি তদারকিতে করতে এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নেতৃত্বে মন্ত্রীগোষ্ঠী গড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই গোষ্ঠীতে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বাস্থ্য সচিবও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জোন হিসেবে তালিকা প্রকাশ করার পর রাজ্যের মানুষ আরও সতর্ক থাকতে পারবেন। আপাতত ২১ মে পর্যন্ত এরকমই চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের সাথে আলোচনা না করেই হঠাৎ হঠাৎ নির্দেশিকা জারি করছে কেন্দ্র। একবার বলছে কড়াভাবে লকডাউন মানতে হবে। আবার কখনও বলছে সব দোকান খুলে দিতে হবে। দোকান খুললে রাস্তায় ভিড় বাড়বে, ফলে লকডাউন ব্যর্থ হবে। মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, আমরা তিন ঘণ্টা ধরে শুনেছি, বলতে দেওয়া হয়নি। কোনও স্বচ্ছতা নেই। রাজ্যের সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে না।