‘হিন্দুদের অযোধ্যায় ডাকো, ৬ ডিসেম্বর হবে রাম মন্দিরের শিলান্যাস’
নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলার শুনানি আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্ত্বেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী জোর গলায় ঘোষণা করলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির হবেই। অযোধ্যায় হিন্দুদের ডাকা হোক, যাতে ৬ ডিসেম্বর রামমন্দিরের শিলান্যাস করা সম্ভবপর হয়। রাম মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই বলেও স্পষ্ট জানালেন তিনি। আর তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরেই ফের আরও একবার সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কারণ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল।
রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে সাধ্বী বলেন, রামজির মন্দির ধুমধাম করে তৈরি হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বরেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের স্থলে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। হিন্দুস্তানের হিন্দুদের অযোধ্যাতে ডেকে ঘোষণা করতে হবে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। কারও সাহায্য চাই না। রাম মন্দির হয়ে যাবে।
Ram ji ka mandir banega dhoom dhaam se. 6 Dec ko hi hume shilanyas karna hai. Ayodhya ke andar hindustan ke hinduon ko bulao, Ram Mandir ki ghoshna karo. Kisi ki zarurat nahi. Ram Mandir ban jayega: Sadhvi Prachi at Akhil Bhartiya Sant Samiti at Talkatora Stadium, Delhi pic.twitter.com/1PIn89DjVC
— ANI (@ANI) 3 November 2018
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতিতে প্রাচী বলেন, রামজি কা মন্দির বনেগা ধুমধাম সে। ৬ ডিসেম্বর কো হি হমে শিলান্যাস করনা হ্যায়। অয়োধ্যাকে অন্দর হিন্দুস্তান কে হিন্দুওঁ কো বুলাও, রামমন্দির কি ঘোষণা করো। কিসি কি জরুরত নহি। রামমন্দির বন জায়ে গা।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে সিদ্ধান্তের পর আরএসএস শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে যেমনটি হয়েছিল, এবার অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্যও সেই রকম তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের মতে, অযোধ্যায় রাম মন্দির ধ্বংস করে গড়ে উঠেছিল মসজিদ। সেই মসজিদ ধ্বংসের পর ফের একবার রাম মন্দির গড়ে তোলার দাবি ওঠে। এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত একাধিক মামলা হয়েছে ও তার শুনানি হয়েছে। তবে, কোনও সমাধান হয়নি। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর অযোধ্যা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। যদিও সেদিন শীর্ষ আদালত মামলার শুনানির দিন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়।