করোনায় একজনও মারা যায়নি ভিয়েতনামে, যেভাবে সফল হল দেশটি
হানয়: করোনার সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যাও ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে। সারাবিশ্বেই প্রতিনিয়তই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে চিন থেকে তাদের প্রতিবেশী ভিয়েতনাম কীভাবে নিজেকে এভাবে সুরক্ষিত রাখলো? ভিয়েতনামে আজ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত মানুষের সংখ্যা শূণ্য। প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যার ভিয়েতনামে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২৭০ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২২ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভিয়েতনামের এই সাফল্যে বিস্মিত। তাঁরা জানতে চাইছেন ভিয়েতনামের এই সাফল্যের কারণ। শিখতে চাইছেন ভিয়েতনামের কাছ থেকে। সঙ্কট মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) ভিয়েতনামের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরু থেকেই কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনাম সফলতা পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই ভিয়েতনাম পুরো দেশটাই লকডাউন করে দিয়েছিল। এতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভিয়েতনাম করোনা প্রতিরোধে বেশ কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাদের সব বিমানবন্দরে যাত্রীদের কঠোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু করা হয়েছিল। বিমানবন্দরে এসে নামা যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হতো এবং তাদেরকে একটি স্বাস্থ্য-ফর্ম পূরণ করতে হতো। সেই ফর্মে যাত্রীদের উল্লেখ করতে হতো তারা কার কার সংস্পর্শে এসেছে, কোথায় কোথায় গিয়েছিল।
এছাড়া ভিয়েতনামে যেকোনো বড় শহরে ঢুকতে বা সেখান থেকে বেরোতে গেলে তথ্য জানাতে হয়। কোন সরকারি দপ্তরে বা হাসপাতালে ঢুকতে গেলেও তথ্য দিতে হয়। এর পাশাপাশি প্রথম থেকেই দেশজুড়ে টেস্টিং এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিল সে সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়েছিল ভিয়েতনাম। কোন এলাকায় মাত্র একটি সংক্রমণ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়।