আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা: VHP
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করার পর এবার নিজেদের পরবর্তী টার্গেট ঘোষণা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তাঁরা জানিয়েছে, তাঁদের পরবর্তী টার্গেট কাশী-মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের ধর্ম প্রচার প্রমুখ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। ভিএইচপি এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়। ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়ে গান্ধিজীর ‘রাম রাজ্য’র স্বপ্ন সফল হল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এই রায়ে সারা ভারতের হিন্দু সমাজের জয় হয়েছে মন্তব্য করেন স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৪০০ বছরের পরাধীনতার চিহ্ন মুছে গেল। বিশ্বের সব হিন্দুদের শুভ কামনায় এবার রামমন্দির পুনর্নির্মিত হবে। জয়-পরাজয় নয়, পুনরুদ্ধারের বিষয়টা ভারতের আত্মা চেয়েছিল। যারা বিপক্ষে ছিলেন তাঁরাও ওই রায় মেনে নিয়েছেন। তাঁদের ধন্যবাদ।
এই রায় ঘোষণার পরে হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, বিদেশি আক্রমণকারীদের চিহ্ন মুছে ফেলে যেভাবে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করা হল, সেইভাবেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অবশ্যই বাংলার আদিনাথ মন্দির (আদিনা মসজিদ) এর মুক্তি চাই।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’ জানিয়েছিল, রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলোকে মুক্ত করা হবে। অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরির দাবি, অযোধ্যার মতোই কাশী ও মথুরাতে হিন্দুদের পবিত্র মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়া হয়েছে। হারানো সেই জায়গা ফিরে পেতে হবে। রাম জন্মভূমির মতোই এই দুই জায়গাও হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। আমরা এর দখল নেবই।
উল্লেখ্য, শনিবার ১০৪৫ পৃষ্ঠার অযোধ্যা মামলার রায়ে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্টকে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মসজিদ তৈরির জন্য ‘উপযুক্ত’ পাঁচ একর জমির বরাদ্দ করতে বলা হয়েছে।