Monday, March 24, 2025
রাজ্য​

মুসলিম অনুপ্রবেশকারী হঠাতে বাংলা-সহ গোটা দেশে এনআরসি চাই: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

কলকাতা: অসমের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মুসলিম অনুপ্রবেশকারী হঠাতে দেশব্যাপী এনআরসি চালু করতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ(ভিএইচপি)। এনআরসিতে নাগরিকত্ব নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন ভিএইচপির সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা।

শচীন্দ্রবাবুর দাবি, সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বিরোধী দলগুলো বিরোধিতা করায় পাস হয়নি। এনআরসি চালুর পাশাপাশি এদিন এই বিল পাস করানোর দাবিও তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরষদ এবার ২ লাখ নতুন সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি রয়েছে ভিএইচপির।

শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধিতা করছেন। বিশেষ করে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬০টি বিধানসভায় জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি। একইসঙ্গে হিন্দুদের মধ্যে জাতপাতের বিরোধ ঘটিয়ে ৮৪টি বিধানসভায় হিন্দু ভোট ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সিটিজেন্সশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বিলকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের দোষারোপ করছে ভিএইচপি। তাঁদের বক্তব্য, এই বিল পাস হলে এনআরসি নিয়ে কোনও সমস্যা হত না।

কী রয়েছে ওই বিলে? সরকার প্রস্তাব করেছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ (হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন) ধর্মীয় অত্যাচার বা আশঙ্কায় দেশ ত্যাগ করে ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁদের জন্য ওই আইনে সংশোধন করা হয়েছিল। তাঁরা ভারতে মাত্র ৬ বছর থাকলেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান থেকে আগত সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আগে নিয়ম ছিল ভারতে কমপক্ষে ১২ বছর থাকতে হবে।