স্ত্রী উষাকে নিয়ে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের মাঝেই নতুন দিক উন্মোচন করতে ভারতে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তাঁর সফরকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে, কারণ এর মাধ্যমে হয়তো দুই দেশের মধ্যে শুল্ক সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর মীমাংসা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেডি ভান্সের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেকেন্ড লেডি ঊষা ভান্সও আসছেন।
বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করে শুল্ক বৃদ্ধি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক মার্কিন সফরের আগেও ট্রাম্প ভারতের শুল্ক নীতিকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে বাণিজ্যিক জটিলতা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন।
জেডি ভান্সের ভারত সফরের তাৎপর্য
এই আবহে জেডি ভান্সের ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এর আগে তিনি ফ্রান্সে এআই অ্যাকশন সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়। ফ্রান্স সফরের সময় ভান্সের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন মোদী।
মোদী-জেডি ভান্সের সুসম্পর্ক
ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনের ফাঁকে জেডি ভান্স এবং ঊষা ভান্সের ছেলে বিবেকের জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে সময় লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ দুর্দান্ত ছিল। আমাদের নানান বিষয়ে বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। তাঁদের ছেলে বিবেকের শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি হয়েছি।”
জেডি ভান্সও মোদীকে অমায়িক ও দয়ালু হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন যে, “প্রধানমন্ত্রী মোদী অমায়িক ও দয়ালু। তাঁর দেওয়া উপহারগুলো আমাদের সন্তানদের বেশ পছন্দ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে চমৎকার আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। এর জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।”
শুল্ক টানাপোড়েন নিরসন হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেডি ভান্সের ভারত সফর শুধুমাত্র বাণিজ্যিক সমস্যা মেটানোর চেষ্টাই নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ককেও সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্য বহন করছে। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা এবং বাণিজ্যিক টানাপোড়েন নিরসনে এই সফর কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে
জেডি ভান্সের সফর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষত শুল্ক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এখন দেখার বিষয়, এই সফরের মাধ্যমে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক টানাপোড়েন কতটা প্রশমিত হয়।