অর্ধেক দামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে বিশ্বমানের পিপিই কিট বানাচ্ছেন IAS অফিসার অরবিন্দ সিংহ
লখনউ: করোনা আবহে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (Personal Protective Equipment) কিট, যা সংক্ষেপে পিপিই কিট হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই কিট যোগান দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি চিন থেকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পিপিই কিট আনা হয়। কিন্তু জানা যায় এর মধ্যে অধিকাংশই ব্যবহারের অযোগ্য।
এ ছাড়া নিম্নমানের প্রচুর পিপিই কিট বাজারে থাকার যেমন অভিযোগ উঠছে, তেমনই উন্নত মানের পিপিই কিটের দামও অনেকটাই বেশি। এহেন পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধেক দামে উন্নত মানের পিপিই কিট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের আইএএস অফিসার অরবিন্দ সিংহ। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিশ্বমানের এই পিপিই কিট বানিয়ে সরবরাহ করছেন উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সেনাদের। এই কিট বানানো থেকে শুরু করে সরবরাহ, পুরোটাই দেখভাল করছেন আইএএস অফিসার অরবিন্দ সিংহ।
লখিমপুর খেরির চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার অরবিন্দ সিংহ এর নাম দিয়েছেন ‘অপারেশন কবচ’। আইএএস অরবিন্দ সিংহ এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং-য়ে টেকনিক্যাল রিসার্চারের কাজ করতেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই উন্নত মানের পিপিই কিট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি।
‘অপারেশন কবচ’-এর অধীনে এই মুহূর্তে লখিমপুর খেরি, ইসানগর, নিঘাসান, পালিয়া, গোলা এবং মোহাম্মাদি ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে ১৭৫ জন মহিলারা এই কিট বানিয়ে চলেছেন। অরবিন্দ সিংহ জানিয়েছেন, চাহিদা বাড়লে আরও কর্মী নিযুক্ত করা হবে। তিনি জানান, কিট তৈরির জন্য প্রত্যেক মহিলাকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বমানের এই পিপিই কিটের প্রতিটার দাম পড়েছে ৪৯০ টাকা। লখনউয়ের সেনা হাসপাতাল ইতিমধ্যে ২,০০০ পিপিই কিটের অর্ডার দিয়েছে। এ ছাড়া লখনউ ক্যান্টনমেন্ট ৫২টি, কুমায়ুন ইন্ডোর ডিভিশন ২০টি এবং সশস্ত্র সীমা বল ৩০টি কিটের অর্ডার দিয়েছে বলে তিনি জানান।
