ত্রিপুরার সব মন্দিরে পশু বলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট
আগরতলা: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। ধর্মের নামে ত্রিপুরায় পশুবলির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট। প্রাক্তন বিচারপতি সুভাষ ভট্টাচার্যের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার এই রায় দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি অরিন্দম লোধের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্মের নামে আর পশুবলি নয়। হিন্দু ধর্মের কোথাও লেখা নেই, যে পশু বলি না হলে ধর্ম পালন করা যাবে না। রাজ্যের কোনও মন্দিরে আর বলি দেওয়া যাবে না। এমনকি খোদ রাজ্য সরকার চাইলেও বলি দিতে পারবে না।
কয়েক বছর আগে ত্রিপুরার রাজবাড়িতে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলেন সুভাষ ভট্টাচার্য। তিনি নবমী পুজোর দিন দুর্গামন্দিরে মহিষ বলি দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। তিন বছর ধরে হিন্দু শাস্ত্রের নানা দিক খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপর মানবিকতার প্রশ্নে নিরীহ পশু হত্যা বন্ধের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন হাইকোর্টে।
আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বেদ-উপনিষদ কোথায়ও লেখা নেই যে পশু বলি বন্ধ হলে হিন্দু ধর্ম পালনে ক্ষতি হবে। দাবি শুনে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে রাজ্যের কোনও মন্দিরে সরকার কিংবা কোনও ব্যক্তি পশু বা পাখি বলি দিতে পারবেন না।