Saturday, May 24, 2025
জীবনযাপন

সন্দীপ মহেশ্বরীর বিখ্যাত ৫০টি উক্তি যা আপনাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যোগাবে

ভারতের বিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার সন্দীপ মহেশ্বরী নয়াদিল্লির একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সন্দীপ মহেশ্বরীর প্রথম জীবনটা শুরু হয়েছিল অত্যন্ত দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে। সেই তিনিই বর্তমানে এশিয়ার একজন বিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার। পাশাপাশি, এশিয়ার সবচেয়ে ধনী স্টক ইমেজ কোম্পানি- ইমেজ বাজার (ImagesBazaar.Com) কোম্পানির মালিক।

সন্দীপ মহেশ্বরীর বিখ্যাত কয়েকটি উক্তি:

১. সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার সমস্যার থেকে অনেক বেশি বড়।

২. চিন্তা না করে করা কাজ এবং কাজ না করে শুধু চিন্তা করা, আপনাকে ১০০% অসফলতা দেবে।

৩. জীবন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তাই আপনার সেরাটা তাকে দিন।

৪. অন্যরা আপনার ব্যাপারে কি ভাবে তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি নিজের ব্যাপারে কি ভাবেন।

৫. আপনি যদি সেই ব্যক্তির সন্ধানে থাকেন যে আপনার জীবন পরিবর্তন করে দেবে, তাহলে একবার আয়নার সামনে তাকিয়ে দেখুন।

৬. হাজারটা নয়, আপনি যা করতে চান তার জন্য একটি বড় কারণ খুঁজুন, সেটাই যথেষ্ট।

৭. একটি ইচ্ছা কিছুই বদলাতে পারেনা, একটি সিদ্ধান্ত কিছু বদলাতে পারে, কিন্তু একটি নিশ্চয়তা সব কিছুই বদলে দিতে পারে।

৮. যেইসব মানুষরা তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা বদল করেন না, তারা কোনো কিছুই বদলাতে পারবেন না।

৯. তোমায় শক্তিশালী হতে হবে, এইজন্য না যে তুমি কারোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারো বরং এইজন্যই যাতে তোমার উপর কেউ চাপ সৃষ্টি করতে না পারে।

১০. সফল ব্যক্তিরা অন্যদের থেকে মোটেই আলাদা নয়, শুধু তাদের চিন্তাভাবনা অন্যদের থেকে আলাদা।

১১. ময়দান ছেড়ে চলে যেও না; প্রতীক্ষাও করো না, শুধু চলতে থাকো।

১২. জীবনে যদি কিছু করতে চাও তাহলে সত্যিটা বলো, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কথা বলোনা।

১৩. সবচেয়ে বড় রোগ, কি বলবে লোক।

১৪. না পালাতে হবে, না থেমে পরতে হবে, শুধু চলতে হবে, শুধুই চলতে হবে।

১৫. শুধু শিখে যেতে হবে, যে শিখে চলেছে সে জীবিত; আর যে শেখা বন্ধ করে দিয়েছে, সে জীবিত থেকেও মৃত মানুষ।

১৬. যখন কোনো মানুষ তোমায় এটা বলবে যে, তুমি এই কাজটা করতে পারবেনা। তখন সে শুধু তোমায় এটাই বলতে চাইছে যে, সে নিজে সেই কাজটা করতে কোনোদিনই পারবেনা।

১৭. শেখার উপর মনোযোগ দাও, উপার্জনের উপর নয়। উপার্জন সর্বদা ভবিষ্যতে হওয়া সম্ভব কিন্তু শেখা শুধু বর্তমান মুহূর্তেই হয়। তাই শেখার উপরেই মনোযোগ দাও, উপার্জনের উপর নয়।

১৮. জড় জিনিসগুলোকে নিয়ে তুমি যত ভাববে, সেগুলোকে পাওয়ার সুযোগ তোমার আরো কমে যাবে। যত তুমি নিজের কাজকে নিয়ে ভাববে, জড় জিনিসগুলোকে পাওয়ার সুযোগ ততই বেড়ে যাবে।

১৯. একটা কাজে ব্যর্থ হওয়ার মানে, তুমি সারাজীবনের জন্য ব্যর্থ হয়ে গেলে এমনটা নয়। একটা কাজে ব্যর্থ হওয়ায়, জীবনের সমাপ্তি হয়ে যায়না ভাই।

২০. তুই এটাই ভাবছিস না যে; তোর বাড়ির লোক কী ভাববে, তোর আত্মীয়রা কি ভাববে? ভালোই তো ভেবেই যা তবে।

২১. আজ থেকে ১০ বছর আগে যেমনভাবে জীবন কাটাচ্ছিলে, আজও তেমন ভাবেই কাটাচ্ছ। Eat sleep repeat, আবার eat sleep repeat. কি মজা আছে এতে? পরবর্তী স্তরে যাও।

২২. আপনি চাইলেও এই জীবনের খেলায় আউট হতে পারবেন না ততক্ষণ অবধি যতক্ষণ না আপনি মাঠ ছেড়ে পালিয়ে না যান। দুনিয়ার কোনো শক্তিই আপনাকে হারাতে পারবেনা যদি আপনি এই পিচে টিকে থাকেন।

২৩. শুধু এইটুকু কথাই বোঝার চেষ্টা করো যে, জীবন একটা খেলা।

২৪. যখন আমরা অন্য কাউকে পরামর্শ দিতে থাকি, তখন আমরা ভালোই পরামর্শ দিই কিন্তু যখন আমরা নিজেরাই সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি, তখন বোকার মতো কাজ করতে থাকি।

২৫. কোনো ভুল এতো বড়ই হয়না যাকে ক্ষমা করা না যায়।

২৬. ভুল করো কিন্তু সেটার থেকে শেখো, সঠিক কাজ করো কিন্তু সেটাতেই আটকে থেকোনা। কোনো ভালো কিছু করে নিজের অহংকারকে বাড়িও না বরং এর থেকে বড় হও।

২৭. প্রথমবার যদি তুমি জীবনে কোনো ভুল করে থাকো তাহলে সেটা আদতে কোনো ভুলই নয়। কিন্তু সেটাকেই যদি তুমি বার বার করতে থাকো তাহলে সেটা একটা ভুল।

২৮. যদি আমরা ইচ্ছাকে পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে আমাদের জীবন বদলে যাবে।

২৯. যেই মূহুর্তে আমরা সেইসব জিনিসগুলোকে দেখি যেগুলো আমাদের কাছে নেই কিন্তু সেটা আমরা চাই, তখনই আমাদের কাছে আমাদের ভাগ্য খারাপ হয়ে যায়। অপরদিকে যেই মূহুর্তে আমরা সেইসব জিনিসগুলোকে দেখি যেগুলো আমাদের কাছে আছে, তখন সেই মূহুর্তে আমাদের ভাগ্য আমাদের কাছে ভালো হয়ে যায়।

৩০. সব পরিস্থিতির মধ্যেই ভালোও আছে আবার খারাপও আছে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ভালোভাবও আছে আবার খারাপভাবও আছে। পছন্দ করা তো আমাদের হাতেই থাকে যে আমরা কি দেখতে চাই।

৩১. তোমরা তো আমার শব্দগুলোকে ধরতে পারছো কিন্তু আমি যেইদিকে ইঙ্গিত করছি সেদিকটা দেখতে পারছো না, এটাই হচ্ছে ফাঁদ। অর্থাৎ আমি আঙ্গুল দিয়ে চাঁদকে দেখিয়ে দিচ্ছি কিন্তু তোমরা আঙ্গুলই শুধু দেখে যাচ্ছো, চাঁদকে দেখছো না।

৩২. প্রত্যেক ক্যারিয়ারে, উপরে কতদূর পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে তার কোনো সীমা নেই।

৩৩. মনে রাখবে, প্রত্যেক বড় কিছুর শুরুটা ছোট দিয়েই হয়।

৩৪. কোনো কাজ করতে গিয়ে যদি তুমি বার বার হতাশ হয়ে যাও তাহলে সেই কাজের প্রতি তুমি অনুপ্রাণিত হবে কি করে? তুমি যত সেই কাজের সম্বন্ধে জানতে শুরু করবে ততই তুমি অনুপ্রাণিত হতে থাকবে। যতই তুমি সেই কাজের পজেটিভ দিকগুলোকে অনুসন্ধান করতে থাকবে ততই তুমি অনুপ্রাণিত হবে।

৩৫. আমার লক্ষ্য, ভারত তথা বিশ্বের বুকে আনলিমিটেড লিডার্সদের তৈরী করা।

৩৬. যার যত সচেতনতা বেশি, তার সম্ভাবনাও তত বেশিই বৃহত্তর।

৩৭. মধ্যস্থতা একটা খুবই বিপজ্জনক জায়গা, আমরা এরমধ্যেই আটকে থেকে যাই।এরফলে আমরা উপর তলার মানুষদেরকে দেখে ঈর্ষা করে থাকি আর নিচের তলার মানুষদেরকে দেখে খুশি হই।

৩৮. যেই কর্ম আপনাকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে তা হল একটা ভালো কর্ম। কিন্তু যেই কর্ম আপনাকে ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে সেটা একটা খারাপ কর্ম।

৩৯. যা কিছুই করো উদ্যমের সাথে করো, নাহলে করোনা।

৪০. যা করছো সেটাই মন দিয়ে করো; কারণ এই দিনটা আর দ্বিতীয়বার আসবেনা।

৪১. যদি কোনো বোরিং জায়গায় আমাদের মনকে আমরা একাগ্র করতে সক্ষম হই, তাহলে ইন্টারেস্টিং জায়গা তো শুধু একটা খেলার সমান হয়ে যাবে।

৪২. সর্বদা মনে রেখো, যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়।

৪৩. আমার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা মাত্র একটাই- শেয়ার করো, মন থকে শেয়ার করো আর সবার সাথে শেয়ার করো।

৪৪. কোনো কাজে যদি তুমি নিজের ১০০% দাও, তাহলে তুমি সাফল্য পাবেই।

৪৫. অর্থ ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা গাড়িতে পেট্রোল। না কম না বেশি।

৪৬. ভালো বলো, ভালো শোনো আর ভালো দেখো।

৪৭. ব্যর্থতা এটাই প্রমাণ করে যে, আপনি চেষ্টা করছেন।

৪৮. যদি আপনি মহান হতে চান, তাহলে বারবার অনুমতি নেওয়া বন্ধ করুন।

৪৯. না আমি হার্ডওয়ার আর নাই বা আমি সফটওয়্যার, আমি শুধু এই দুটোর ব্যবহারকারী।

৫০. তুমি দুনিয়াকে যেমন নজরে দেখবে, তেমনটাই তুমি হয়ে যাবে।