এবার প্রকাশ্যে দল ছাড়ার হুমকি দিলেন বর্ধমানের তৃণমূল নেতা খোকন দাস
বর্ধমান: একের পর নেতার দল ছাড়ার হুমকিতে বিপর্যস্ত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করলেন বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন দাস (Khokon Das)। বর্ধমানের কাঞ্চননগরে অনুগামীদের নিয়ে করা সভাতেই রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা সভাপতির সমালোচনা করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তেওয়ারির পরে এবার খোকন দাসের প্রকাশ্যে এই সমালোচনায় শহর জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেকাদায় পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি প্রয়োজনে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন খোকন দাস।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান আইনুল হক। যার ফলে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন খোকন দাস। দীর্ঘদিন তিনি সিপিএমের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন আইনুল হক। খোকন দাস এদিন প্রকাশ্যে বলেন, দল ছেড়ে দেব তবু আইনুল হককে নেতা হিসেবে মেনে নেব না।
খোকন দাসের সাফাই, পাঁচ বছর আগে এই আইনুল হক সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। দল সেটা ভুলে গেছে। রাজ্য নেতারা ওকে নিয়ে চললেও, আমি চলতে পারবো না। জেলা সভাপতি পাশের চেয়ারে ওকে বসাক, আমি অন্তত তার সঙ্গে দল করতে পারবো না।
খোকন দাস বলেন, আইনুল হকদের মতো নেতাদের সামনে বসিয়ে আমাকে কোণঠাসা করে ফেলতে চাইছে দলের একটা অংশ। তবে আমাকে অত সহজে শেষ করে দেওয়া যাবে না। তাঁর অভিযোগ, ধাপ্পাবাজ তোলাবাজে দল ভরে গেছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেই সব লোকদেরই দলের মুখ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। খোকন দাস বলেন, নেতাদের ঘরে বসে নয়, সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সামনের সারিতে কারা থাকবে তা নির্ধারণ করুন দল।
বেসুরো গাওয়া খোকন দাস কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? তবে খোকন দাস থাকুক বা না থাকুক তাতে তৃণমূলের কিছু আসে যায় না। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রয়োজন বুঝেই আইনুল হককে দলে নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই কাজ করা উচিত।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

