খুলে দেওয়া হল বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও
হংকং: বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হল বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও (HZMB)। এর আগে মঙ্গলবার সাগরের ওপর নির্মিত সেতুটির উদ্বোধন করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফলে ৯ বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার। সেতুটি শুধু সমুদ্রেরই নয় বরং বিশ্বের স্থলভাগের সেতুগুলোর মধ্যেও দীর্ঘতম। জল ও স্থলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেতু এটি।
সেতুটি চিনের দু’টি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং ও ম্যাকাওয়ের সাথে দেশটির মূল ভূখণ্ড গুয়াংডং প্রদেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে। বুধবার থেকে সেতুটি যাতায়াতের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এই সেতু দিয়ে ম্যাকাও ও হংকংয়ের যাত্রী ও যানবাহনগুলো সরাসরি বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবে। চিনের নদী পার্ল রিভারের ওপর দিয়ে সেতুটি সমুদ্র পার হয়ে চলে গেছে ওপারে।
China opens the world’s longest sea bridge https://t.co/h3Hj7S9pcz by @ReutersTV pic.twitter.com/DtCqKfqHIG
— Reuters Top News (@Reuters) 23 October 2018
হংকং থেকে ম্যাকাওয়ে সড়কপথে যাতায়াতে তৈরি এ সেতু ৫৫ (৩৪ মাইল) কিলোমিটার দীর্ঘ। যাত্রাপথে সেতুটি আরও ১১টি বড় শহরকে যুক্ত করেছে। দক্ষিণ চিনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এ সেতুর সুবিধা পাবে। এ সেতু চালু হওয়ায় হংকং ও ম্যাকাওয়ের মধ্যে দূরত্ব আড়াই ঘণ্টা কমে এসেছে। আগের তিন ঘণ্টার পথ এখন আধা ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। শুল্কের মাধ্যমে এই সেতু থেকে প্রতিবছর আয় হবে ৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি রিখটার স্কেলে আট মাত্রার ভূমিকম্প এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সহ্য করতে পারবে। সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব। বড় আকৃতির মালবাহী জাহাজের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সেতুর ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার অংশ জলের নিচে রাখা হয়েছে।
সেতুটি অতিক্রম করার সময় গাড়ি চালকদের হার্টরেট ও রক্তচাপ মনিটর করা হবে সেতুটির কন্ট্রোল সেন্টার থেকে। সেতুটিতে পর্যবেক্ষণ ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। কোনও চালক যদি গাড়ি চালানো অবস্থায় ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনবারের বেশি হাই তোলে তখন ওই চালককে ‘ইয়োন ক্যাম’ এর মাধ্যমে সতর্ক করা হবে।