Tuesday, March 25, 2025
দেশ

দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করল মোদী সরকার

নয়াদিল্লি: ভারতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন, তামাকের আসক্তি মোকাবিলার হাতিয়ার হিসাবে এটিকে ব্যবহার করা হলেও ই-সিগারেট বা বৈদ্যুতিন সিগারেট এবং এই ধরণের অন্যান্য পণ্যগুলি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী শিশুরাও না বুঝে ই-সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ই-সিগারেটের উৎপাদন, বিক্রি, আমদানি/রফতানি, পরিবহন, বিজ্ঞাপন এবং সঞ্চয় সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করল ভারত সরকার।

নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হবে। তবে প্রথমবার ভুল করে এই আইন লঙ্ঘন করলে তাঁদের কারাদণ্ড না হলেও ১ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের হাজতবাস হতে পারে।

সাম্প্রতিক প্রকাশ হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ই-সিগারেটে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। এই ক্ষতির দিক বিবেচনা করেই পাঞ্জাব, কর্ণাটক, মিজোরাম, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো ডজনখানেক রাজ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এবার গোটা দেশেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।


অনেকেই ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের মতো দেখতে যন্ত্রের সাহায্যে ধূমপান করেন। যন্ত্রের মধ্যে রাখা তরল, ব্যাটারির মাধ্যমে গরম হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়। যা টেনে নেন ধূমপায়ীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এদিকে, মোদী সরকারের ই-সিগারেট নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, সার্বিক ভাবে কেন সিগারেট-গুটখা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না- সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের ইস্তেহারে মূল অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে ছিল ই-সিগারেট, হিট-নট-বার্ন স্মোকিং ডিভাইস, ভ্যাপ এবং ই-নিকোটিন স্বাদযুক্ত হুকাগুলির মতো বিকল্প ধূমপানের যন্ত্র নিষিদ্ধ করা।