ঐতিহাসিক অযোধ্যা রায়ের পর কী বললেন তসলিমা নাসরিন?
নয়াদিল্লি: অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি নিয়ে শনিবার রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হোক হিন্দুদের। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমি দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে তৈরি করতে হবে ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্ট ওই জমিতে মন্দির নির্মাণের জন্য রূপরেখা তৈরি করবে। অন্যদিকে, মসজিদের জন্য মুসলিম সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হবে ৫ একর বিকল্প জমি।
ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ইতোমধ্যে তাঁর ওই পোস্ট ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তসলিমাকে বাংলাদেশে গিয়ে স্কুল স্থাপনের কথা বলেছেন।
তসলিমা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখছেন, আমি বিচারপতি হলে অযোধ্যার রায়টা অন্যভাবে দিতাম। ২.৭৭ একর জমি যেইখানে রাম মন্দির বানানির অনুমতি দেওয়া হইছে সেইটা সরকারকে দিতাম আধুনিক একটা বিজ্ঞান স্কুল বানানোর জন্য। আর যে ৫ একর জমি দেওয়া হবে মসজিদ বানানোর জন্য, সেই ৫ একর জমিও আমি সরকারকে দিতাম একটা আধুনিক হাসপাতাল আর চিকিৎসা গবেষণাকেন্দ্র বানানোর জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান স্কুলে পুলাপানেরা ফ্রি পড়বে। আধুনিক হাসপাতালেও সবাই ফ্রি চিকিৎসা পাবে।
তসলিমা নাসরিন আরও বলেন, সরকারি হাস্পাতালে ভিড়, জায়গা পাওয়া যায় না। সরকারি ইস্কুলও ভালো নেই। প্রাইভেট গজাচ্ছে। মসজিদ মন্দির গির্জা মানুষের কি সত্যি কোনও উপকার করে? লেখিকা বলেছেন, যারা ধর্ম পালন করে তাদের সকলে যে নিকৃষ্ট তা নয়, কিছু লোক ভালোও মিলবে। অন্যদিকে, ধর্ম পালন যারা করে না, তাদের সকলে যে ভালো তাও ঠিক নয়, কিছু লোক নিকৃষ্টও বটে। এই সত্যটা মানুষ জোরে সোরেই বলুক এখন– ধর্ম মানুষকে কোনও অর্থেই নির্লোভ, শান্তি প্রিয়, দয়ালু, সৎ, নীতিবান মানুষ হওয়ার প্রেরণা দেয় না। ওইসব গুণের সঙ্গে সম্পর্ক মুক্তচিন্তার, মানববাদের, আদর্শবাদের।