Saturday, June 21, 2025
Latestদেশ

শবরীমালা রায় পর্যালোচনার জন্যে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনা মামলায় বিষয়টি পর্যালোচনার জন্যে ৭ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সহমত না হওয়ায় কার্যত অমিমাংসিত থেকে যায় শবরীমালা ইস্যুটি। এদিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ভিন্নমত প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি আর এফ নরিম্যান এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। অন্যদিকে, সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা পাঠানোর ক্ষেত্রে সহমত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এ এম খানভিকর এবং ইন্দু মালহোত্রা।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্ন একটি বড়সড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম ও পার্সি মহিলাদের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার মতো বিষয়ও রয়েছে। তাই বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্যে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, সব পক্ষকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া উচিৎ।


প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তৎকালীন বিচারপতি দীপক মিশ্র নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছিল, ৫০ বছরের কম বয়সী মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। এই রায়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা কেরল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও ভক্তদের বাধায় একজনও ৫০-এর কমবয়সী মহিলা ঢুকতে পারেনি মন্দিরে। কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সবমিলিয়ে ৬৫টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়ে।


দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শবরীমালা রায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেই শিরোধার্য করবে তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কি রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

প্রসঙ্গত, বছরে মোট ১২৭ দিন খোলা থাকে কেরলের শবরীমালা মন্দির। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে রায় ঘোষণার আগে, ওই মন্দিরের দেবতা আয়াপ্পার পুজো দেওয়ার জন্য ১০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা সত্বেও ভক্তদের বাধায় একজনও ৫০ বছরের কমবয়সী মহিলা ঢুকতে পারেনি মন্দিরে।