Monday, March 17, 2025
আন্তর্জাতিক

জামায় পিরিয়ড রক্ত লাগায় শিক্ষকের অপমান, ছাত্রীর আত্মহত্যা

নাইরোবি: কেনিয়ার নাইরোবির কাবিয়ানগেক এলাকার একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীর পিরিয়ড শুরু হয়। এবং তার পোশাকে পিরিয়ডের রক্ত লেগে যায়। যেটি দেখে ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে তাকে অপমান করে শিক্ষক। পিরিয়ড শেমিংয়ের সে অপমান সহ্য না পেরে অবশেষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মেয়েটি। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, স্কুলের মধ্যেই এ ঘটনায় একজন শিক্ষক তাঁর মেয়েকে অপমান করেন। আর পিরিয়ড শেমিং সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় তাঁর মেয়ে বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, স্কুলড্রেসে রক্ত লেগে থাকায় ওই শিক্ষক তাঁর মেয়েকে ‘নোংরা’ বলেন এবং ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় তাঁর কাছে প্যাড হিসেবে ব্যবহার করার মত কিছু ছিল না। তিনি বলেন, এরপর তাঁর মেয়ে বাড়ি চলে আসে এবং তার সাথে কী হয়েছে তা তাঁকে জানায়। কিন্তু এরপর আমি যখন জল আনতে বাইরে যাই তখন সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কেনিয়ায় একটি আইন করা হয়। যে আইনে বলা হয় দেশের প্রতিটি স্কুলে স্কুলছাত্রীদের জন্য ফ্রি স্যানিটারি টাওয়াল রাখার কথা। তবে এরপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করছে সংসদীয় কমিটি।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, উপ-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে পিরিয়ডের কারণে প্রতি ১০ জন স্কুলছাত্রীর মধ্যে একজন স্কুল ছেড়ে দিয়েছে। পিরিয়ডের কারণে মেয়েরা তাদের পড়াশোনার ২০ শতাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একপর্যায়ে অনেকে স্কুলই ছেড়ে দিচ্ছে।