সভা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তৃণমূলের প্রতিবাদী মঞ্চ
নন্দীগ্রাম: হরিয়ানা, পাঞ্জাব-সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এটার ফায়দা লুটছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে লড়াইয়ের ময়দানে নিজেদের জমি ধরে রাখতে এই আন্দোলনকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলও নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ, মিছিল করছে তৃণমূল। আর সভা চলাকালীন মঞ্চ ভেঙে বিপত্তি ঘটার ঘটনা সামনে এল এবার।
মঙ্গলবার বিকালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে শাসকদলের প্রতিবাদী মঞ্চ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঞ্চ দাঁড়িয়ে তখন ভাষণ দিচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা, ঠিক তখনই এক নেতার ভাষণ চলাকালীন হঠাত্ই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঞ্চ। যার জেরে মাঝপথেই থামাতে হয় সভা।
যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি তৃণমূলের। তবে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় জনসভার আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ওই সভা হয়েছিল। সভার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস। মঞ্চে তৃণমূল নেতানেত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিলো।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা আবু সুপিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বহু নেতানেত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বদেশ দাস-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার পর মঞ্চে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন পীযুষ ভুঁইয়া। তখনই ঘটে বিপত্তি। পীযুষ ভুঁইয়া যখন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেন তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঞ্চ। এই ঘটনার পর মুলতুবি করে দেওয়া হয় সভা।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।