সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি গেল, এবার সুদে-আসলে কত টাকা ফেরত দিতে হবে চাকরিহারাদের?
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হওয়ায় ২৬ হাজারেরও বেশি চাকরি হারালেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। তবে শুধু চাকরি হারানোই নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে পাওয়া সমস্ত বেতনও ফেরত দিতে হবে চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের, সঙ্গে ১২ শতাংশ সুদ।
কাদের টাকা ফেরত দিতে হবে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, শুধুমাত্র চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের বেতন ফেরত দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করেছে:
1. যাঁরা ব্ল্যাঙ্ক OMR শিট জমা দিয়েছিলেন
2. যাঁদের নাম প্যানেলে ছিল না, তবুও চাকরি পেয়েছিলেন
3. যাঁরা নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি নিয়েছিলেন
এসএসসি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই তালিকায় আপাতত ৫,৪৮৫ জনের নাম রয়েছে, যদিও বোর্ড ও রাজ্যের আলাদা তালিকা জমা পড়লে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফেরতযোগ্য বেতনের হিসাব
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের ২০১৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রাপ্ত বেতন ফেরত দিতে হবে, তার সঙ্গে ১২% সুদও যুক্ত হবে।
বিভিন্ন স্তরের হিসাব:
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক: স্টার্টিং স্যালারি ৪০,০০০ টাকা ধরে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৪ লক্ষ টাকা।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক: স্টার্টিং স্যালারি ৪৪,০০০ টাকা ধরে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৬ লক্ষ টাকা।
গ্রুপ সি কর্মচারী: স্টার্টিং স্যালারি ২৬,০০০-২৭,০০০ টাকা ধরে মোট ১৬ লক্ষ টাকা।
গ্রুপ ডি কর্মচারী: স্টার্টিং স্যালারি ১৯,০০০ টাকা ধরে মোট ১১ লক্ষ টাকা।
এই বেতনের উপর ১২% সুদ যোগ হলে প্রতিজনের উপর আর্থিক দায় আরও বেড়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রভাব
বেকারত্বের নতুন সংকট সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি, বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের অর্থ ফেরত দিতে হবে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থীদেরই সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এই রায়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য হয়ে থাকবে এবং বেআইনি নিয়োগ বন্ধে এটি এক বড় নজির হয়ে থাকবে।
