রাহুলের সায় নেই, তাই উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণ এড়ালো গান্ধী পরিবার
মুম্বাই: প্রথম থেকেই শিবসেনার সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে রাহুল গান্ধীর। সভাপতি পদে থাকার সময়েই বলতেন, মহারাষ্ট্রে জোট শুধু এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেই। আর এবার যখন শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রক্রিয়া এগোল, রাহুল তখন বিদেশে। সোনিয়া মহারাষ্ট্রে আপসের পথে হাঁটলেও রাহুলের সায় নেই। তাই উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণ এড়ালো গান্ধী পরিবার।
মুখ্যমন্ত্রী পদে উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণের আগে চিঠি দেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। চিঠিতে তিনি লেখেন, দেশ যখন বিজেপির থেকে অপ্রত্যাশিত বিপদের মধ্যে রয়েছে, এমন একটা সময়ে একসঙ্গে এসেছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস।
এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল গান্ধী। তবে সোনিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আহমেদ প্যাটেল, কপিল সিব্বল, কমল নাথ। অন্য একটি চিঠিতে লেখেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ায় তিনি আনন্দিত। সোনিয়া গান্ধী লেখেন, এটি স্থায়ী, ধর্মনিরপেক্ষ এবং গরিব দরদী সরকার হবে।
সোনিয়া গান্ধী লেখেন, রাজনৈতিক পরিবেশ দূষিত হয়েছে এবং অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক হতাশার মধ্যে রয়েছেন কৃষকরা। শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস একটি বিষয়ে একমত হয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, তিন দলই বিষয়টি কার্যকর করার চেষ্টা করবে।
চিঠিতে কংগ্রেস সভানেত্রী লেখেন, জোটের থেকে মহারাষ্ট্রের মানুষ, কার্যকর, সফল উদ্দ্যেশ্য, দায়িত্ববান, সংবেদনশীল, স্বচ্ছ প্রশাসন আশা করে। আমাদের সম্মিলিত চেষ্টা নিশ্চিত করবে, যাতে এগুলি সম্পন্ন হয়। সোনিয়া গান্ধী জানান, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। তিনি লেখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে জানাই, আপনার নতুন জীবন শুভ হোক।