ধূমপান করা মানে, টাকা দিয়ে মৃত্যুকে কেনা
ধূমপান ত্যাগ করা খুব কঠিন কোনও ব্যাপার নয়। ‘ধূমপান মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ’, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ একথা সর্বজনবিদিত। ধূমপানের ভয়াবহ পরিণতির কথা জেনেও আমরা এ মরণনেশায় অভ্যস্ত এবং ধূমপান করাকে অনেকে আভিজাত্য ও সভ্যতার প্রতীক মনে করে থাকি। ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে। জেনে-শুনে নিশ্চয়ই আপনি বিষপান করবেন না। আপনি জানেন কি প্রতিনিয়ত ধূমপানের মাধ্যমে আপনি তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণ করছেন। শুনলে অবাক হবেন একটি সিগারেটে চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা থেকে ২৫টি জটিল রোগ হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে ৪ মিলিয়ন লোক মৃত্যুবরণ করছে এই তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে। মনে করা হচ্ছে, তামাক সেবনের হার এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হবে তামাক সেবন।
ধুমপান কখনও একদিনে কাউকে ধ্বংস করে দেয় না। যত দিন যাবে, যত বয়স বাড়বে তত এর ক্ষতির দিকগুলো দেখা যায়। জার্মানির ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ধূমপান করার কারণেই বছরে ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। আর বছরে ৩,৩০০ জন মারা যায় ধূমপায়ীদের কাছাকাছি থেকে সিগারেটের ধোঁয়া গ্রহণ করার কারণে।
ধূমপায়ীরা মাত্র কয়েক সপ্তাহ ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে আপনাদের ফুসফুস আরও ভালোভাবে কাজ করছে। মানুষ তার আয়ু নিজেই নির্ধারণ করতে পারেনা তা ঠিক, তবে ধূমপান করে ইচ্ছে করে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবারও কোনও যুক্তি নেই। তাই ধূমপান বর্জন করুন, ক্যানসারকে দূরে রাখুন এবং নিসংকোচে জোর গলায় বলুন আমার গর্ব, আমি কখনও ধূমপান করিনা, ভবিষ্যতেও করব না। আমার গর্ব কখনও অ্যালকোহল পান করিনা, ভবিষ্যতেও করব না।