Thursday, December 5, 2024
দেশ

ইচ্ছা না থাকলে শারীরিক সম্পর্কে ‘না’ বলার অধিকার আছে যৌন কর্মীদেরও: সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে বাধা দিতে পারেন যৌন কর্মীরাও, সমাজের অন্যান্য নারীদের মতো তাঁদেরও সেই অধিকার রয়েছে- জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্টের বাতিল একটি রায় প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত এদিন জানায়, যৌন কর্মীদেরও শারীরিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নিম্ন আদালত এদিন ১৯৯৭ সালের দিল্লির একটি গণধর্ষণ মামলায় চার অপরাধীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

১৯৯৭ সালে রাজধানী দিল্লির একটি গণধর্ষণের ঘটনার রায় দিতে গিয়েই এই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। ২০০৯ সালে মামলাটি যখন দিল্লি হাইকোর্টে ওঠে, তখন নির্যাতিতাকে ‘দুশ্চরিত্রা’, ‘যথেচ্ছ যৌনাচারে অভ্যস্ত’ এবং ‘যৌনপেশায় যুক্ত’ বলে উল্লেখ করে হাইকোর্ট চার দোষীকে ছাড় দেয়। শীর্ষ আদালত ওই চার অপরাধীকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আর ভানুমতীর বেঞ্চ জানায়, কোনও মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সঙ্গম করা অপরাধ। অভিযুক্তরা ওই মহিলার উপর মিথ্যে অভিযোগ এনেছিল। ওই মহিলা যৌনকর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালত জানায়, যৌনকর্মী হলেও তাঁর সঙ্গে জোর করে সঙ্গম করার অধিকার কারও নেই। যৌন পরিষেবা দেওয়া তাঁর পেশা হতে পারে। তবে এব্যাপারে তাঁকে জোর করা হলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনিও। চাইতে পারেন প্রতিবিধান। যৌনাচারে অভ্যস্ত বলেই তাঁর উপর যৌন অত্যাচার করার অধিকার জন্মায় না কারও।