Monday, May 19, 2025
দেশ

পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পেতেই ৬ কোটি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট

পুণে: মারণ করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে মারা গেছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ২২০ জন। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত করোনা রোধে কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাসের যে টিকা বানিয়েছে তা বানরের দেহে কার্যকর হয়েছে। গত সপ্তাহে গবেষকরা মানুষের ওপর এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় ইতিবাচক রেজাল্ট পাওয়ায় সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) জানিয়েছে, আপাতত তাদের হাতে থাকা ফর্মুলাতেই প্রায় ৬ কোটি ডোজ বানাবে তাঁরা। সেপ্টেম্বর নাগাদ চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাশ করলেই প্রতিষেধক বাজারে আনবে সংস্থা।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা টিকাটি বানরের দেহে প্রয়োগ করে সফলতা মিলেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৬ টি বানরের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। এরপর বানরগুলোর দেহে ব্যাপক মাত্রায় নভেল করোনাভাইরাস ঢোকানো হয়। ২৮ দিন পর দেখা গেছে বানরগুলো পুরোপুরি সুস্থ আছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। বানরের ওপর সফল প্রয়োগের পর সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) জানান, তাঁরা টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু বানরের ওপর টিকাটি কাজ করেছে, সেহেতু মানষের ওপরও তা কাজ করবে বলে আশাবাদী তিনি।

আদার পুনাওয়ালা জানান, চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হতে এখনও কয়েক মাস লাগবে। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিজ্ঞানীরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। সময় বাঁচাতে তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করবে তাঁরা।

পুনাওয়ালা বলেন, ট্রায়ালের সফলতার ওপর ভিত্তি করে আমরা মাসে ১ কোটি পর্যন্ত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবর নাগাদ ২ কোটি থেকে ৪ কোটি ভ্যাকসিন আনতে পারব আমরা। যদি এই ভ্যাকসিন সফল হয়, তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতেই বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্বের প্রতিটি দেশকে ভ্যাকসিন সাপ্লাই দেওয়া হবে।