‘অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস যেন মোদীর হাতেই হয়’
লখনউ: সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নভেম্বরে অবসরের আগেই এ মামলার রায় ঘোষণা করে যাবেন। বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ ঘোষণা করে দিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর থেকেই রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে। কোর্টের ফয়সালা যা-ই হোক না কেন, রাজনীতির তাস বিজেপি-আরএসএসেরই হাতে থাকবে।
বিজেপির আমলে রামমন্দির তৈরি হলে নরেন্দ্র মোদী ‘হিন্দুহৃদয়সম্রাট’ হিসেবে ইতিহাসে জায়গা পাকা করে নেবেন। আর রায় বিপক্ষে গেলে ফের রামমন্দির নিয়ে আন্দোলন শুরু হবে। আরএসএস ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, শীর্ষ আদালত থেকে ইতিবাচক ফল আশা করছি। তবে রামমন্দির ইস্যুতে রাজনীতি করতে চাই না। তিনি বলেন, গতকাল থেকেই গেরুয়া শিবিরে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। অনেকে ধরেই নিয়েছেন, রায় তাঁদের পক্ষেই আসবে।
আর যদি তেমনটা হয় তাহলে মোদীকে অযোধ্যায় চান সাধুসন্তরা। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাধুরা ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন, রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই হয়। ধুমধাম করে শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। এত বছর ধরে গোটা হিন্দু সমাজ অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অপেক্ষায় আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট থেকে একটানা ৩৯ দিন ধরে প্রতিদিন চলছিল অযোধ্যা মামলার শুনানি। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার কাজ ১৮৮৫ সালে শুরু হলেও এখনও কোনও সুরাহা মেলেনি। এর মধ্যে আদালতে উঠেছে নানা পক্ষের নানা পিটিশন। ২০১১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে আবার ২০১৭ সালে নতুন করে মামলার শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট, যা তখন সম্পূর্ণ হয়নি।