চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ঘটনায় সোচ্চার হলেন সদগুরু
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। এই গ্রেফতারি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং প্রতিবেশী দেশ ভারতেও সৃষ্টি করেছে ব্যাপক আলোড়ন। বিশিষ্ট ভারতীয় ধর্মগুরু সদগুরু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে এই ঘটনাকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন।
সদগুরু তাঁর পোস্টে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “একটি গণতান্ত্রিক জাতি কীভাবে ধর্মতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী হওয়ার জন্য ভেঙে পড়ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। মুক্ত গণতন্ত্রের মূল্য অনুধাবন করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে নিপীড়ন বা দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা কোনও গণতান্ত্রিক দেশের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক নীতি থেকে বিচ্যুতি’ বলে মন্তব্য করে সাধগুরু বলেছেন, “প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে সকলের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”
ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের এক নতুন উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই গ্রেফতারির পেছনে প্রকৃত কারণ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি একটি দমনমূলক পদক্ষেপ।
প্রতিবেশী সম্পর্কের ওপর প্রভাব
ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে নতুন চাপ সৃষ্টি করছে। ভারতীয় ধর্মগুরুরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হওয়ায় বিষয়টি আরও বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
সাধগুরু তাঁর পোস্টে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি একটি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি অনুগত থেকে একটি এমন সমাজ গঠন করুন, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রার স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষিত হবে।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার কী প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তা এখন দেখার বিষয়।