গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন দিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, দূষণ রোধে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: প্রতিমা বিসর্জনের জেরে গঙ্গার দূষণ হচ্ছে ব্যাপক হারে। তাই দূষণ রোধে গঙ্গায় বিসর্জন করা যাবে না, এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১১টি রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গঙ্গা বা তার কোনও উপনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। দশেরা, দীপাবলি, ছট, সরস্বতী পুজোয় গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় দুর্গাপুজোর কথা বলা নেই, তবে দশেরার কথা বলা থাকায় সংশয় দেখা দিয়েছে। গঙ্গার দূষণ বন্ধ করতে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ বা এনএমসিজি-র তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, হরিয়ানা, রাজস্থান।
শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিষেধাজ্ঞায় আপত্তির কিছু দেখছেন না। পুরোহিতরা জানান, পূজার প্রতিমা মাটি, রুপা, সোনা, অষ্টধাতু, পিতলের তৈরি বা কাঠে আঁকা ছবি হতে পারে। কিন্তু বাঙালি থিমের হিড়িকে এসবের তোয়াক্কা করেনি।
প্রবীণ পুরোহিত শম্ভুনাথ স্মৃতিতীর্থ বলেন, গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ইদানীং তো ফুল-মালা জলে না-ফেলে গঙ্গার ঘাটে সংগ্রহের বন্দোবস্ত থাকে। আর প্রতিমা জলে পড়লেও তা ক্রেনে তুলে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে উপকরণগুলো ভেঙে ফেলা হয়। গঙ্গায় প্রতিমা গলে যাচ্ছে, এমনটা আজকাল প্রায় ঘটেই না।
সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন ঠেকাতে যাতে এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালন করা হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন ঠেকাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা উৎসব শেষে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। এই নির্দেশিকা ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।