এবার তৃণমূল ছাড়লেন মমতা-ঘনিষ্ঠ রতন ঘোষ, শুরু জল্পনা
বনগাঁ: এবার তৃণমূলের সাধারণ সদস্য পদও ছেড়ে দিলেন রতন ঘোষ। বুধবার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাড়ছেন বনগাঁর এই তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে বনগাঁ মহকুমা সামলেছেন তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জেলা পরিষদের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন তিনি।
রতন ঘোষের এই সিদ্ধান্তের পর ফের বাড়ল তৃণমূলত্যাগীর সংখ্যা। বনগাঁয় রতন ঘোষের প্রভাব প্রশ্নাতীত। ফলে ঘাসফুল শিবির যে বড় ধাক্কা খেল সেটা বলা বাহুল্য। গত কয়েক মাস দলীয় কোনও সভাতেই দেখা মিলছিল না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রতন ঘোষকে। এরপরেই শুরু হয় জল্পনা।
এমনকি, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনগাঁর গোপালনগরের সভাতেও রতন ঘোষকে দেখা যায়নি। যদিও রতন ঘোষ বলেছেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সভায়। তালে কেন এই পদত্যাগ ? সেই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি তিনি। রতন ঘোষের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দলের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে অপমানিত হচ্ছিলেন তিনি।
তৃণমুলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বনগাঁ মহকুমা। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল গঠনের পর থেকে নিজের হাতে করে শহর ও মহকুমাকে সাজিয়েছিলেন রতন ঘোষ। ২০০১ সালে বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা থেকে জয়লাভ করেন বর্ধমানের ভূমিপুত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর উত্তর ২৪ পরগনায় দলের নয়নের মনি হয়ে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ক্রমশ জেলা কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে বনগাঁ মহকুমার রাজনীতির রাশ চলে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতে। রাজনীতির ময়দানে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়েন রতন ঘোষ। গত পঞ্চায়েত ভোটে বনগাঁ থেকে সরিয়ে সুন্দরবনের সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদের সদস্য করে। জয়লাভের পর তাঁকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অধীনে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। বুধবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

