‘চন্দ্রযানের পিছনে এটাকে বেঁধে নিয়ে যান’, মমতাকে আক্রমণ রাহুল সিনহার
কলকাতা: চন্দ্রযান ২ নিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক তরজা এখন তুঙ্গে। চন্দ্রযান ২ এর অবতরণ নিয়ে এবার তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চন্দ্রযান ২ -এর চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ চাইতেই পারেন। তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের বলন, চন্দ্রযানের পিছনে এটাকে বেঁধে নিয়ে যান।
রবিবার ভারতীয় মজদুর ট্রেড ইউনিয়ের এক সভায় রাহুলবাবু বলেন, এর আগে পুলওয়ামা বিস্ফোরণ এবং তারপরে এয়ার স্ট্রাইক প্রসঙ্গে মোদী সরকারকে বারবার আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রমাণ কোথায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের?
রাহুল সিনহা বলেন, যদি চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, তাহলে লিখে রাখুন, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলবেন, চন্দ্রযান যে চাঁদে গিয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়। তৃণমূলকে রাষ্ট্রের কলঙ্ক বলে উল্লেখ করে রাহুল সিনহা তিনি বলেন, চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রযান ২-এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ইসরোর। গোটা দেশের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়ছে। সারা দেশের মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে সংযোগ যাতে স্থাপন হয়। তবে সারা দেশের মধ্যে তৃণমূল একমাত্র প্রার্থনা করছে, হে আল্লাহ, সংযোগ যাতে স্থাপন না হয়। এদের পাকিস্তানে গিয়ে বাস করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন রাহুল সিনহা।
সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেছন, ‘যেন দেশে এই প্রথম চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ করা হল। যেন ওঁরা ক্ষমতায় আসার আগে এমন কোনও মিশন হয়নি। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের থেকে সবার নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার রাজনীতি। চন্দ্র-অভিযান তো হয়ে গেল, চাঁদেই গিয়ে থাকুন।
মমতা বলেন, এনআরসি প্রতিহিংসার নামান্তর এবং দেশের নাজুক অর্থনীতি থেকে সকলের মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখার প্রয়াস চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিহিংসার দ্বারা দেশের গণতন্ত্রের ভিত নড়িয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার।
মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যটি আসলে তাঁর হতাশাকেই ফুটিয়ে তুলছে। গোটা দেশবাসী যখন চন্দ্রবিজয় উদযাপন করছে, মমতা তখন গুমরে মরছেন! চন্দ্রাভিযানে কেন রাজনীতিকে টেনে আনা হবে! কোনও কারণ তো নেই।