Tuesday, November 5, 2024
দেশ

IAF হামলায় ধ্বংস জইশের ৪টি জঙ্গিঘাঁটি, প্রমাণ ধরা পড়ল র‍্যাডারের ছবিতে

নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা নিয়ে সর্বত্র যে জল্পনা চলছে, তাতে কার্যত জল ঢাললো ভারতীয় যুদ্ধ বিমানে থাকা সিন্থেটিক অ্যাপারচার র‍্যাডারে পাওয়া ছবি।

সিন্থেটিক অ্যাপারচার র‍্যাডারে মূলত 3D ছবি ওঠে। গতিশীল বস্তুতে এই র‍্যাডার ব্যবহার হয়। মিরাজ ২০০০-এ এই র‍্যাডার রয়েছে। র‍্যাডারে ওঠে মূলত এক্স রে-র মতো ছবি।

স্যাটেলাইটের মতো স্পষ্ট ছবি এই র‍্যাডারে ওঠে না কিন্তু মেঘ বা গাছের আড়ালে থাকা বস্তু এই র‍্যাডারে ধরা পড়ে। র‍্যাডারে দেখা গিয়েছে, জইশের চারটি ভবনে পাঁচটি এস-২০০০ বোমা ফেলে বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান।

উল্লেখ্য, জইশ প্রধান মাসুজ আজহারের ছোটভাই মৌলনা অমর নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন, বালাকোটে যে মাদ্রাসায় ভারতীয় বায়ুসেনা বোমা ফেলেছে, সেখানে জিহাদিদের আধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণ চলত।

পেশোয়ারের এক মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে মৌলনা অমর জানিয়েছেন, আএসআই বা পাকসেনার উপর বোমা ফেলেনি ভারতীয় বায়ুসেনা। বালাকোটে বোমা পড়েছে জইশ মহম্মদের ঘাঁটিতে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি সংসদের যৌথ অধিবেশনে পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদও স্বীকার করেছেন, ৪টি ভারতীয় বিমান ঢুকেছিল জাবায়। পিছনে আরও ১০টি বিমান আত্মরক্ষার ফরমেশনে ছিল। আজহারের মাদ্রাসা ধুলোয় মিশিয়ে দেয় তারা।