ক’দিন বাদে তৃণমূল দলটাই ইতিহাস হয়ে যাবে: বিজেপি নেতা
সিঙ্গুর: দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সিঙ্গুরের ভূমিকা ব্যাপক। তৎকালীন বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছিল সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন। এবার সিঙ্গুরের একটি স্কুলের ক্লাস এইটের ইতিহাস প্রশ্নপত্রে এসেছে, শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায় সিঙ্গুরের মাটিতে কতো সালে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন?
জানা গেছে, ওই স্কুলের নাম- সিঙ্গুর মহামায়া স্কুল। ওই স্কুলের ইতিহাস পরীক্ষায় অষ্টম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে এসেছে, কবে শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায় সিঙ্গুরের জমিতে সরষে বীজ ছড়িয়েছিলেন। সঙ্গে ৪টি অপশনও দিয়ে দেওয়া হয়েছে– ২০১৬ সালের ১৮/১৯/২০/২১ অক্টোবর।
এই প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের এক বিজেপি নেতা বলেছেন, আসলে তৃণমূল দলটাই তো ক’দিন বাদে ইতিহাস হয়ে যাবে, তাই এখন থেকেই ইতিহাসে নিজেদের নাম তুলে রাখার চেষ্টা করছে।

সিপিএম নেতা সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেছেন, আমি বুঝতে পারছি না, এটা ইতিহাসের প্রশ্ন, নাকি বিদ্রুপের জন্য প্রশ্নটি করা হয়েছে? এই সরকার ইতিহাসের সিলেবাসই বদলে দিয়েছে। রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরবাসীদের কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এসে তিনি কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেবেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে সমর্থ্য হন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরষে বীজ ছড়িয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুরে হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বিধানসভা থেকে ব্যাপক ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।