সমস্ত জল্পনার অবসান, মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
মুম্বাই: কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি, রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি কেন্দ্রকে এই রিপোর্ট দেওয়ার পরেই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হল।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের ২০ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যে সরকার গড়া নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন রাজ্যপাল কোশিয়ারি। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্টও পাঠান তিনি। এরপরই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যপালের সুপারিশে সায় দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
এদিকে, সরকার গঠনে সময় না দেওয়ায় এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা। সোমবার সন্ধ্যায় আদিত্য ঠাকরে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে আরও তিনদিন সময় চান তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি নাকচ করে দেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, সরকার গড়তে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এনসিপিকে সময়সীমা বেধে দেন রাজ্যপাল।
President’s Rule imposed in the state of #Maharashtra, after the approval of President Ram Nath Kovind. pic.twitter.com/tR3qW4xYbR
— ANI (@ANI) November 12, 2019
এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় ব্যস্ত শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি। এর আগে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ার বলেছেন, শিবসেনার থেকে মাত্র ২টি আসন কম পেয়েছে এনসিপি। তাই শিবসেনার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে, শিবসেনার বিরুদ্ধে জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১৫০ আসন জিতেছে বিজেপি, শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন, ফলে বিধানসভায় অনায়সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় শিবসেনা-বিজপি জোট। তবে শিবসেনা ৫০-৫০ হারে ক্ষমতার দাবি করে। অন্যদিকে, এনসিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন, এবং কংগ্রসের দখলে ৪৪টি আসন।