তিব্বতিদের ধর্মচর্চা কখনই চিনা ইচ্ছায় চালিত হবে না: তিব্বত প্রধান
ধর্মশালা: ১৯৫০ সালে চিন বেআইনি ভাবে দখল করে তিব্বত। তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান লবসাং সাংগে (Lobsang Sangay) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) করা সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন। লবসাং সাংগে বলেন, তিব্বতিদের কাছে কমিউনিজমের চাইতে বুদ্ধের মতবাদ (বুদ্ধইজম) অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিব্বতিদের ধর্মচর্চা কখনই চিনা ইচ্ছায় চালিত হবে না।
গত ২৯ আগস্ট বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক সিম্পোজিয়ামে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, তিব্বতিদের বৌদ্ধধর্মের চর্চার চিনায়ন হওয়া উচিৎ। এর জন্য তাদের চিনের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে।
তিব্বত প্রধান লবসাং সাং চিনা প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, শি জিনপিং উত্থাপিত প্রস্তাব হল চীনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টিকে দিয়ে তিব্বতের স্বতন্ত্র জাতিসত্তাকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
লবসাং সাং বলেন, ধর্মের চেয়ে কমিউনিজমকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার মানে হল আন্তর্জাতিক ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করা। যা অত্যন্ত ভ্রমাত্মক। তিব্বত প্রধান বলেন, তিব্বতে সুস্থিতি আনার জন্য সেখানকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা মোচন করতে হবে। তিব্বতে চিনের গণবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ৬০ বছর আগে ১৫৪ জন তিব্বতীয় নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে জীবন দিয়েছিল। চিনের সেটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।


