নয়া ভারত নির্মাণে বিশ্বভারতীর অবদান রয়েছে: মোদী
কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী। এদিন তাঁর ভাষণে জুড়ে রইলেন বিশ্বকবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নমো শুরু করেন, ‘হে বিধাতা দাও দাও দাও মোদের গৌরব দাও’ দিয়ে, আর ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ দিয়ে শেষ ভাষণ শেষ করেন।
বৃহস্পতিবার নিজের ভাষণে মোদী বলেন, গুরুদেব যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার জায়গা হল বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন। নয়া ভারতের মূল ভিত্তি তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। উনি আমাদের গ্রাম, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, বাণিজ্য়ে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন। নয়া ভারত নির্মাণে বিশ্বভারতীর অবদান রয়েছে।
করোনার জেরে এবছরে পৌষমেলা হচ্ছে না। যা নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এই নিয়ে ১০০ বছরে তৃতীয় বার এই মেলা হল না, ছোট শিল্পীরা, কারিগররা বিপদে পড়লেন। আমি চাইব, এই কারিগরদের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা নজর দিক, তাঁদের প্রস্তুত করা হাতের কাজ কিভাবে বিশ্ববাজারে তুলে ধরা যায় তার পথ তৈরি করুন। এভাবেই দেশ আত্মনির্ভর হয়। নমোরর কথায়, লক্ষ্যে পৌঁছতে গুরুদেবের দেখানো পথেই একলা চলতে হবে।
মোদী বলেন, ভারতের স্বাতন্ত্র্য ও বিশ্বভারতী যেন একে অপরের পরিপূরক। ইতিহাসের পথ ধরে তিনি বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন বহু অতীতের আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা থেকে পেয়েছিল। বিশেষ করে ভক্তি আন্দোলনের কথা বলতেই হয়। উঠে আসবে মাধবাচার্য, রামানুচার্যের নাম। আসবে মীরাবাঈ, তুকারামের কথা। অন্যদিকে, সন্ত কবীর, সুরদাস, গুরুনানক, চৈতন্য মহাপ্রভুর কথা বলতেই হয়। তাদের এই আন্দোলন ভারতকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। এই সাধনমার্গ থেকে ভারত জ্ঞানমার্গে হেঁটেছে বিশ্বভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাত ধরেই।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।