Thursday, September 19, 2024
রাজ্য​

দুর্গাপুরের সভায় মোদীর ১০টি বাছাই করা বক্তব্য

মতুয়া মহাসঙ্ঘের আমন্ত্রণে ঠাকুরনগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাত্র ১৪ মিনিটেই শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। ঠাকুরনগরের পর দুর্গাপুরে সভা করেন মোদী। ওই সভায় তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন মোদী। একইসঙ্গে বাজেটে সুফলও তুলে ধরেন তিনি।

দুর্গাপুরের জনসভায় কী বললেন মোদী:

১. ঠাকুরনগরে ছোট মাঠে বেশি ভিড়েই বিপত্তি বাধে। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ওখানে যে সমস্যা হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের উৎসাহ ও ভালোবাসাই আমার শক্তি। কিন্তু ভালোবাসার সঙ্গে ধৈর্য্য থাকাও দরকার। এত বড় ময়দান। তাও দেখছি ছোট লাগছে। চারদিকে মানুষ আর মানুষই দেখছি।

২. ধৈর্য্য এখানে জরুরি কারণ যে ধরনের ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার, আপনাদের সমস্যা হাওয়া স্বাভাবিক। গতকাল রাতে যা হয়েছে তার খবর পেয়েছি। নাকে চোট নিয়েও এক কর্মী সাহস নিয়ে এখানে হাজির হয়ে গিয়েছেন। আপনাদের এই তপস্যা, বলিদান নষ্ট হবে না।

৩. দিদিকে সরাতে সময় লাগবে। প্রদীপ নেভার আগে একটু বেশি জ্বলে ওঠে। দিল্লিতে বসে ভাবছিলাম, দিদি নিজেই সিপিএমের নির্যাতন সহ্য করেছেন। উনি সেই রাস্তায় যাবেন না। কিন্তু, উনিও একই রাস্তায় হাঁটলেন। এমনটা কেন হচ্ছে!

৪. বাংলার পবিত্র মাটি অনাচার বেশিদিন বরদাস্ত করবে না। মা-মাটি-মানুষের নামে সরকার তৈরির পর বেছে বেছে বিরোধীদের সরিয়ে দিচ্ছে।

৫. পূর্ব ভারতের উন্নতি চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিছুক্ষণ আগে রেলপ্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। দুর্ভাগ্য এখানকার সরকার উন্নয়ন প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

৬. পশ্চিমবঙ্গে পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরুই হচ্ছে না। আর শুরু হলেও মৃতপ্রায়। সড়ক, রেল, জলপরিবহণ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যের মতো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করছে না রাজ্যের মমতা সরকার।

৭. সবকা সাথ সবকা সাথ বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে বাজেট। শ্রমিক, কৃষক সকলের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে। মধ্যবিত্তরা দাবি করে আসছিলেন, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা হোক। এতবছর পর সেই দাবি পূরণ করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। বাজেটে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা আয়ের ব্যক্তিকে আর কর দিতে হবে না।

৮. অমিত শাহ রাজ্যে আসাতেই দিদির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল। হেলিকপ্টার থেকে নামতে দিচ্ছেন না। যাত্রায় বাধা দিলেন। দিদির খেল আর কতদিন চলবে। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আপনাদের জন্য লড়াই করছি। পশ্চিমবঙ্গ জগাই মাধাই ও সিন্ডিকেট রাজ থেকে মুক্তি দিতে বাংলার মানুষের পাশে আছি।

৯. বাংলায় শিশুরাও জানে ‘ট্রিপল টি ট্যাক্স’- তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। কলেজে ভর্তি, শিক্ষকদের বদলির জন্যেও টাকা লাগে। রাজ্যের অনেক স্কুলে শিক্ষক নেই। কারণ, শিক্ষকরা আদালতে চক্কর লাগাচ্ছেন।

১০. পশ্চিমবঙ্গে গরিবদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সুবিধা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিহার ও ছত্তিসগড়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লাভবান পশ্চিমবঙ্গ। অথচ বিনামূল্যের চিকিৎসা গরিবদের দিতে চায় না তৃণমূল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের গরিববিরোধী সরকার হাত তুলে নিয়েছে। অসংবেদনশীল ও নির্দয় এই সরকার। নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে গরিবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।