নবরাত্রি-দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার নবরাত্রি উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, নয় দিনের এই উৎসব দেশবাসীকে নতুন শক্তি ও উদ্যোগে পূর্ণ করবে।
হিন্দিতে মোদী টুইটারে লিখেছেন, নবরাত্রিতে দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা। জয় মাতা জি! শক্তি পুজার উৎসবে সকলকে শুভেচ্ছা! দেবী দুর্গা আমাদের সকলের জীবনে এক নতুন শক্তি, নতুন আশা এবং মনোভাবকে জাগ্রত করে তোলে! জয় অম্বে, জগদম্বে মা। এর আগে ২০১২ সালে মোদী একটি ব্লগে উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি নবরাত্রির সময় ৩৫ বছর ধরে উপবাস করছেন।
सभी देशवासियों को #नवरात्रि की बहुत-बहुत शुभकामनाएं। जय माता दी!
शक्ति की उपासना के पावन पर्व नवरात्रि की आप सभी को बहुत-बहुत बधाई। मां दुर्गा हम सबके जीवन में नई ऊर्जा, नई उमंग और नए उत्साह का संचार करें। जय अंबे जगदंबे मां!
— Narendra Modi (@narendramodi) September 29, 2019
মোদীর দ্বিতীয় টুইটে লিখেছেন, নবরাত্রির প্রথম দিনে আমরা প্রথম অবতার মা শৈলপুত্রীর উপাসনা করি। আমরা প্রার্থনা করি যে শক্তি এবং শান্তির প্রতীক মা শৈলপুত্রি সমস্ত বিশ্বের যত্ন নেবেন।
#नवरात्रि के पहले दिन हम देवी दुर्गा के प्रथम रूप मां शैलपुत्री की पूजा और आराधना करते हैं। शक्ति और शांति की प्रतीक मां शैलपुत्री संपूर्ण जगत का कल्याण करें, यही कामना है। pic.twitter.com/FW7Q28LIZn
— Narendra Modi (@narendramodi) September 29, 2019
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, শক্তির উপাসনা ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি। শক্তি পূজার উৎসবে সমস্ত দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। জয় মাতা জি।
शक्ति की उपासना भारतीय संस्कृति का मूल है।
शक्ति आराधना और संकल्प के पावन पर्व ‘नवरात्रि’ की समस्त देशवासियों को हार्दिक शुभकामनाएँ।
जय माता दी! pic.twitter.com/mEknjptbuc
— Amit Shah (@AmitShah) September 29, 2019
প্রসঙ্গত, এবছর নবরাত্রি ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এসময় বাঙালিরা যেমন মেতে ওঠে দুর্গা পুজোতে তেমনি অবাঙালিরা নয় দিনের জন্য দশেরা কোথাও বা নবরাত্রিতে মেতে থাকে। কোনও কোনও জায়গায় একে বিজয়াদশমীও বলা হয়। আসলে দশেরা হল দেবীপক্ষের দশম দিন বা নবরাত্রির দশম দিন। এই দিন লঙ্কায় দশানন রাবণকে হারিয়ে রাম যুদ্ধ জয় করে সীতা উদ্ধার করেছিলেন। স্থানীয় ভাষায় দশহরা শব্দের অর্থও তাই। দশ মানে দশানন রাবণ, আর হরা মানে হার।
ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র শারদীয়া দুর্গাপুজার প্রচলন শুরু করেন। রাবণবধ ও সীতা উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র দুর্গতিনাশিনী দুর্গার অকালবোধন করে নবরাত্র ব্রত পালন করেছিলেন। ব্রহ্মা দুর্গার এই নয়টি রূপের নামকরণ করেছিলেন। নয়টি নামের নয়টি বৈচিত্রময় রূপভেদ। এই নয়টি রূপের নাম হল- শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী, সিদ্ধিদাত্রী।